ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৫ ১৪৩১

ঐক্যফ্রন্টে ঐক্য নেই!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০১:০১ পিএম, ১৫ মে ২০১৯ বুধবার

দেশের রাজনীতিতে আলোচিত নাম ‘ঐক্যফ্রন্ট’। জাতীয় নির্বাচনের প্রক্কালে বিএনপি যখন হতাশার সাগরে ডুবুডুবু ঠিক সেই সময় আলোচনায় আসে তারা। জাতীয় ঐক্যের নামে একত্রিত হয়ে নির্বাচনে অংশ নেয় ড. কামালের গণফোরাম সহ বিএনপির ২০ দল। কিন্তু শুরু থেকেই ঐক্যে থাকা দলগুলোর মধ্যে মতবিরোধ লক্ষ্য করা গেছে। যা আরও ঘনিভুতি হয়ে উঠেছে বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাত এমপির শপথ নেওয়াকে ঘিরে।

যেখানে সরকার পতনের আন্দোলন নিয়ে মাঠে নেমেছিল এই জোট, সেখানে তারা রাজনৈতিক চালে এক কথায় পর্যুদস্ত। কোন সভা, সেমিনার, আন্দোলনেই মাঠ গরম করতে পারেনি তারা। বরং ঐক্যের পর বিএনপির ভরা ডুবি দলটির অবস্থান দেশের রাজনীতিতে তলানিতে অবস্থন করছে। এমনকি তাদের নিজেদের মধ্যেও শুরু হয়েছে কোন্দল। ভাঙনের মুখে ২০ দলীয় জোট।

এদিকে সংসদে যাওয়া নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে সংকট। যা এখনো দূর হয়নি। কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী চিঠি দিয়ে ফ্রন্ট ছেড়ে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন। শুধু তা-ই নয়, অবস্থান বদল করে শপথ নেওয়ার বিষয়ে বিএনপি ও গণফোরাম অন্য তিন শরিক দলকে কী বলবে তারও সুরাহা হয়নি। পাশাপাশি ফ্রন্টের বৈঠকে বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা অংশ নেবেন কি না তা নিয়েও সংশয় দেখা দিয়েছে।

গত রবিবার ঐক্যফ্রন্টের বৈঠক ডাকা হয়েছিল। কিন্তু কোন এক অদৃশ্য কারণে তা স্থগিত করা হয়। এমন পরিস্থিতিতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট কার্যত কিছুটা অচলাবস্থার মধ্যে পড়েছে।

এ বিষয়ে গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সংকট থাকলেও আলোচনা করে সেগুলো নিষ্পত্তি করা যায়। কাদের সিদ্দিকীকে যথাযথ ব্যাখ্যা দেওয়া হবে।’

তিনি বলেন, ‘আশা করি দেশের সংকটকালের কথাও তিনি বিবেচনায় নেবেন। আমাদের বিশ্বাস, তিনি ঐক্যফ্রন্ট ছেড়ে যাবেন না।’

সুব্রত চৌধুরী আরও বলেন, ‘যে যত কথাই বলুক, কে কোথায় যাবে? যাওয়ার কোনো জায়গা আছে? সরকার তো সব দরজা বন্ধ করে দিয়ে রাজনীতি করার সুযোগ নষ্ট করে দিয়েছে। ফলে ফ্রন্ট বা বিএনপিকে ছেড়ে গেলেই রাতারাতি সব সমস্যা সমাধান হবে না। জোটে থেকেই লড়াই করতে হবে।’

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘৩০ ডিসেম্বরের মতো একটি ফ্রড নির্বাচনের পরও গত চার মাসে আমরা কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামতে পারিনি। উল্টো সংসদে  যোগদান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সুতরাং এগুলো নিষ্পত্তি হতে হবে। তা না হলে ঐক্যফ্রন্টের সামনে এগোনো কঠিন।’

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান বীরপ্রতীক বলেন, ‘আমরা ঐক্যফ্রন্ট ছেড়ে যাব এ কথা বলিনি। বরং আমরা ফ্রন্ট শক্তিশালী করার পক্ষে। তবে যে অসংগতিগুলো নির্বাচনের আগে ও পরে হয়েছে সেগুলো দূর করতে বলেছি।’

এসএ/