ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

বিড়ম্বনায় পড়েছেন অমিত শাহ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৭:২৯ পিএম, ১৬ মে ২০১৯ বৃহস্পতিবার

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ নির্বাচনের শেষ দিকটা তেমন একটা ভালো হলো না। বিড়ম্বনায় পড়েছে দেশটির ক্ষমতাসীন দল বিজেপি। সর্বশেষ মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গে বিদ্যাসাগর কলেজে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙ্গাকে কেন্দ্র করে রাজনীতির মাঠ বেশ উত্তপ্ত হয়েছে। ভারতের আনন্দ বাজার পত্রিকা বলছে, শুরু হওয়ার আগে থেকেই চলছে এ রাজনৈতিক অস্থিরতা। পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় বিজেপি’র সর্ব ভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ’র রোড শো অশান্তি ডেকে এনেছে। রাজ্য জুড়ে দেখা দিয়েছে অমিত শাহের বিরোধী মনোভাব।

পশ্চিমবঙ্গের গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার অমিত শাহের রোড শো কলকাতা নগরীর কলেজ স্ট্রিটে পৌঁছতেই সংঘর্ষে জড়ায় বিজেপি এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। এতে তৃণমূণ কংগ্রেস ও বিজেপি নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ পত্র দিয়েছে। বিদ্যাসাগরের মুর্তি ভাঙ্গাকে কেন্দ্র করে কলকাতার বিভিন্ন থানায় তিনিটি মামলা দায়ের হয়েছে। এ সব মামলায় এখন পর্যন্ত গ্রেফতারকৃতরা বেশিরভাগই বিজেবি’র নেতাকর্মী ও সমর্থক।

আনন্দ বাজার পত্রিকা বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে বলেছে, বিজেপি সভাপতির রোড শো’তে বিরোধিতা করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। ধর্মতলা থেকে ঐ রোড শো শুরু হওয়ার পর কলেজ স্ট্রিটে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে আসতেই কালো পতাকা হাতে বিক্ষোভ করেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কিছু কর্মী-সমর্থক। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে পৌঁছতেই চরমে ওঠে উত্তেজনা। এ সময় বিদ্যাসাগর কলেজে ভাংচুরের তান্ডব হয়। এ তান্ডবে বিদ্যাসাগরের মুর্তি ভাঙ্গে বিজেপি সমর্থকরা বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।

এ দিন রাতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা ঘটনাস্থলে যান। ঐদিন রাতেই ১৬ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ কলেজ ও মুর্তি ভাংচুরের ইন্ধনদাতা অমিত শাহ এমন অভিযোগ উঠলেও পুলিশের তদন্তে তার নাম নেই বলে জানা যায়। বিদ্যাসাগর কলেজ ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলায় ৫৮ জনকে গ্রেফতার করেছে জোড়াসাঁকো ও আমহার্স্ট স্ট্রিট থানা।

জানা যায়, ঐ হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় যারা গ্রেফতার হয়েছেন তাদের বেশির ভাগই রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে এসেছিলেন। পুলিশের একটি অংশ বলেছে, বিদ্যাসাগর কলেজে হামলার ঘটনায় গ্রেফতারকৃতরা কলেজের ভিতর থেকে নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহের বিরুদ্ধে স্লোগান হওয়ায় তারা প্রতিবাদ করতে কলেজের ভিতরে যায়। কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা জানান, সন্ধ্যায় ক্লাস চলাকালীন সময়ে হামলাকারীরা গেটের তালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে। তারা কয়েকজন শিক্ষককে মারধর করে।