ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

ইভিএমে কারচুপির অভিযোগে উদ্বিগ্ন প্রণব

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৪১ এএম, ২২ মে ২০১৯ বুধবার | আপডেট: ১১:৫১ এএম, ২২ মে ২০১৯ বুধবার

ভারতের লোকসভা নির্বাচন শেষ হওয়ার পর ইভিএমে  কারচুপির অভিযোগ ওঠায় উদ্বিগ্ন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, সাংবিধানিক সংস্থা  হিসেবে  নিজের গ্রহণযোগ্যতা বজায় রাখার দায় নির্বাচন কমিশনের। এখন ইভিএম নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বে আছে। সেগুলি যাতে সুরক্ষিত থাকে তার দায়  কমিশনের।

এর আগে সম্পূর্ণ ভিন্ন অবস্থান নেন দেশের প্রাক্তন এবং এ পর্যন্ত একমাত্র বাঙালি রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। এনডিটিভির এডিটোরিয়াল ডিরেক্টর সোনিয়া সিংয়ের লেখা বই ‘ইন্ডিয়া থ্রু দেওয়ার আইজ`-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসে প্রণব বলেন, ‘আমরা যদি আমাদের দেশের সাংবিধানিক সংস্থাগুলোকে মজবুত করতে চাই তাহলে মনে রাখতে হবে এ ধরনের সংস্থা আসলে দেশের কাজে লাগে।

আমাদের দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা যদি সাফল্য পেয়ে থাকে তাহলে তার সিংহভাগ জুড়ে রয়েছে নির্বাচন নির্বিঘ্নে আয়োজন করতে পারার বিষয়টি। সে ব্যাপারে সুকুমার সেন (দেশের প্রথম মুখ্য নির্বাচন কমিশনার) থেকে শুরু করে এখনকার মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সকলেরই ভূমিকা রয়েছে।

তারা নিজেদের কাজ ঠিক করে পালন করছেন। তাদের সমালোচনা করা যায় না। নির্বাচন আয়োজনে কোনওরকম ত্রুটি হয়নি। দেশের সংস্থাগুলি নিজেদের মতো কাজ করছে। দীর্ঘ অভিজ্ঞতায় সেগুলো আরও সমৃদ্ধ হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি যার কাজের দক্ষতা নেই সে যন্ত্রপাতি এবং সরঞ্জাম নিয়ে প্রশ্ন তোলে। যার কাজের দক্ষতা আছে সে জানে কোন  যন্ত্রকে কীভাবে ব্যবহার করতে হয়।`

প্রণব বর্তমান কমিশনারকে নিয়ে মন্তব্য করেন বলে মনে করে রাজনৈতিক মহল। এরপর দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ইভিএমকে কেন্দ্র করে অপ্রীতিকর খবর আসতে  থাকে। তাতেই প্রতিক্রিয়া দিলেন দেশের একমাত্র বাঙালি রাষ্ট্রপতি।

উত্তর প্রদেশ এবং বিহারের কিছু জায়গায় ইভিএম মেশিনে কারচুপির অভিযোগ তুলল বিরোধীরা। আর তার প্রতিবাদে স্ট্রং রুমের বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছে বিরোধী দলের প্রতিনিধিরা। পূর্ব উত্তর প্রদেশের  গাজিপুরের বিএসপি প্রার্থী প্রার্থী আফজাল আনসারী স্ট্রং  রুমের বাইরে অবস্থানে বসেন।

তিনি ও তার সহযোগীদের দাবি ইভিএমে কারচুপির চেষ্টা হয়েছে। তবে তার অভিযোগ মানতে রাজি হয়নি পুলিশ। হরিয়ানা থেকেও একই রকমের অভিযোগ এসে পৌঁছেছে।

এরই মধ্যে চেন্নাইয়ের একটি সংস্থা দাবি করে ইভিএমের সঙ্গে ১০০ শতাংশ ভিভিপ্যাট মিলিয়ে দেখতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থও হয় তারা।

এই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।  বিচারপতি অরুণ মিত্রের নেতৃত্বাধীন অবসরকালীন ব্যাঙ্ক জানাল এমন  দাবি হাস্যকর। তাই তা নিয়ে  শুনানির কোনও প্রয়োজন নেই।  

তথ্যসূত্র: এনডিটিভি

এমএইচ/