ঢাকা, বুধবার   ১৫ মে ২০২৪,   চৈত্র ৩১ ১৪৩১

মাগফিরাতের শেষ সময়ে ক্ষমা পাওয়ার আকুলতা বাড়াই

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৪৮ এএম, ২৫ মে ২০১৯ শনিবার

রমজান স্রষ্টাকে পাওয়ার মাস এবং সব পাপ ক্ষমার মাস। রমজান সৌভাগ্য বয়ে আনে। রমজানের প্রথম দশক বা বরকতের দশক পাড় হয়ে এসেছি। দ্বিতীয় দশক তথা মাগফিরাত বা ক্ষমার দশকও শেষ প্রান্তে। গুনাহ মাফের সুবর্ণ সুযোগ। আল্লাহর ক্ষমা পাওয়ার শ্রেষ্ঠ সময়। তাই ক্ষমার জন্য আকুল হই।

আল্লাহতায়ালা মাগফিরাতের দশকে তার ক্ষমার পানি দ্বারা বান্দাকে সিক্ত করেন। নেক বান্দারা রাব্বুল আলামিনের ক্ষমা থেকে কখনও নিরাশ হন না এবং ক্ষমার পানি দিয়ে তৃষ্ণা মেটাবার লক্ষ্যে ইবাদত ও প্রার্থনায় আকুল থাকেন। আমরা কি তা পেরেছি?

আমাদের সবার উচিত, মাগফিরাতের এ দশক থেকে পুরোপুরি ফায়দা হাসিল করা। মাগফিরাত শেষ হতে অল্প সময় বাকি আছে, বিশ রোজার সূর্যাস্তের পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত। এই সময়ে আমাদের গোনাহগুলো মাফের জন্য আল্লাহর কাছে ধর্ণা দেই।

বেশি বেশি ইবাদত বন্দেগী করি, চোখের পানি ফেলে প্রার্থনায় অংশ নেই। যা রাব্বুল আলামীনকে বিগলিত করে। বেশি বেশি বলতে থাকি- তুমি তো অতি ক্ষমাশীল, ক্ষমা তো তোমার পছন্দ অতএব আমাকে ক্ষমা কর। তুমি তো পরম দয়ালু, আমি ভুল করেছি, আমি তোমার দয়া প্রার্থনা করছি।

আল্লাহকে খুশী করার জন্য ইবাদতের পাশাপাশি ভালো ভালো কাজ করবো, দান করবো, আত্মীয়-স্বজনের হক আদায় করব এবং গরীব-দুঃখীর কষ্টের ভাগিদার হবো। আল্লাহ খুশী হলে ক্ষমা পাওয়া সহজ হবে।

রমজানে দানশীলতা ও বদান্যতা প্রদর্শনের সুবর্ণ সুযোগ। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘একজন মিসকিনকে দান করলে তা শুধু একটি দান হিসেবে গণ্য হবে, কিন্তু একজন গরীব আত্মীয়কে দান করলে তাতে দ্বিগুণ সওয়াব হয়। প্রথমে সওয়াব হবে দান করার জন্য, দ্বিতীয় বার হবে আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য।’ (তিরমিযি)

এএইচ/