ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

রোজায় পাইলস রোগীদের জন্য করণীয়  (ভিডিও) 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০২:৪৭ পিএম, ২৭ মে ২০১৯ সোমবার

পাইলসকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় হেমরোয়েডস বলা হয়। মলদ্বারের নিচের অংশে এক ধরনের রক্তের গুচ্ছ- যেটা আঙ্গুরের মতো ফুলে যায়। এর ফলে মল ত্যাগ করলে বা মল ত্যাগ না করলেও সেখান থেকে প্রায়ই রক্তপাত হয়। এটিই হচ্ছে পাইলস।

যারা পাইলসে আক্রান্ত তাদের জন্য করণীয় কী? কী কী উপায় অবলম্বন করলে তারা সহজেই রোজা রাখতে পারবেন? এ সংক্রান্ত বিষয়ে সম্প্রতি একুশে টিভির জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘সিয়াম ও আপনার সাস্থ্য’ অনুষ্ঠানে আলোচনা করা হয়েছে।

এ বিষয়ে আলোচনা করেছেন প্রফেসর ডা: এস.এম. এ. এরফান, বিভাগীয় প্রধান, সার্জারী বিভাগ, কেয়ার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশীপ হাসপাতালের কলোরেকটাল সার্জারি বিভাগের চীপ কনসালট্যান্ট। উপস্থাপনায় ছিলেন ডা. নন্দিনী সরকার। শ্রুতি লেখক একুশে টিভি অনলাইন প্রতিবেদক মাহমুদুল হাসান।

প্রফেসর ডা. এস.এম. এ. এরফান বলেন, সারাদিন উপবাস থাকায় পানিসহ শাক, সবজি আমরা কম খেয়ে থাকি, ফলে খাবারের এ পরিবর্তনের কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য বৃদ্ধি পায়। তাই এ সময় ফাইবার জাতীয় খাবার বেশি খেতে হবে।

তিনি বলেন, যারা অনেক আগে থেকেই পাইলস রোগে আক্রান্ত তাদের উচিত হলো রমজানের রোজা শুরু হওয়ার আগেই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা। এর মাধ্যমে তারা তাদের অবস্থান সম্পর্কে জানতে পারবেন।

এছাড়াও রোজার সময় আপনি কী কী খাবেন আর কী খাবেন না, এ নিয়ে খাবারের একটি চার্ট তৈরি করে নিতে পারেন। এতে আপনার খাবার নিয়ন্ত্রণে আসবে। আপনি সহজেই এর রোগের বিরূপ প্রভাব থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

পাইলস রোগীদের অপারেশনের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, যাদের পাইলসের সমস্যা অধিক তাদের জন্য করণীয় হলো আপারেশন করা। এতে করে অপারেশনের তিন থেকে চার দিন পরই রোজা রাখা শুরু করতে পারবেন।

যাদের পাইলসের সমস্যা তুলনামূলক কম তাদের জন্য খাদ্যাভাসে পরিবর্তন আনতে হবে। এ ক্ষেত্রে দুটি বিষয় তথা ক্যালরি ও ফাইভারের দিকে খেয়াল রাখতে হবে।

এ সময় আপনাকে অধিক পরিমাণ ফাইভার জাতীয় খাবার খেতে হবে। তৈলাক্ত ও ভাজা পোরা জাতীয় খাবার পরিত্যাগ করতে হবে। 

পাইলস রোগীদের মাংস খাওয়ার বিষয়ে প্রফেসর ডা. এস.এম. এ. এরফান বলেন, অনেকেই মাংস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধ করে থাকেন। কিন্তু আমি বলব আপনি মাংস খান। তবে মাংসের সাথে ফাইবার তথা আশ জাতীয় খাবার প্রচুর পরিমাণে খান।

দেশে প্রচলিত ইফতারে যেসব খাবার থাকে বিশেষ করে পিয়াজু, আলুর চপ, বেগুনি ইত্যাদি স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই ক্ষতিকর। এ সমস্ত খাবার কোষ্ঠকাঠিন্য বৃদ্ধি করে। ইফতারিতে ইশবগুল, তোকমা বা বেলের শরবত খেতে পারেন।

এ রোগ হলে শঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, চিকিৎসা ব্যবস্থা অনেক এগিয়ে গেছে। সব ধরনের চিকিৎসা আমাদের আছে,  তাই শঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তবে একটা জিনিস মনে রাখতে হবে, আমাদের দেশে পায়ুপথের সবধরনের রোগকে পাইলস হিসেবে ধরা হয়। এর সাথে আরো অন্যান্য রোগের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারও আছে। তাই ক্যান্সার আছে কিনা তা প্রথমেই পরীক্ষা করে নিতে হবে।

ভিডিও

 

এমএইচ/এমবি