ঢাকা, বুধবার   ১৫ মে ২০২৪,   জ্যৈষ্ঠ ১ ১৪৩১

টেকসই নগরায়ণ বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে: পরিকল্পনামন্ত্রী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:১১ পিএম, ২৭ মে ২০১৯ সোমবার

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশে অভ্যন্তরীণ অভিবাসী বাড়ছে। ঘরবাড়ি হারিয়ে গ্রাম থেকে মানুষ শহরে ছুটছে। ফলে `জলবায়ু শরণার্থী` সংকট মোকাবেলা ও টেকসই নগরায়ণ বাংলাদেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সোমবার জাতিসংঘের এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএন এসকাপ) বার্ষিক সভার দ্বিতীয় দিনের অধিবেশনে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এসব কথা বলেন। ইউএন এসকাপের ৭৫তম বার্ষিক সভায় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কান্ট্রি পেপার উপস্থাপন করেন তিনি। থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে এ সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। রোববার শুরু হয়ে বার্ষিক সভা চলবে আগামী শুক্রবার পর্যন্ত।

মন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশ সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর অন্যতম। যদিও বাংলাদেশ কার্বন নিঃসরণের জন্য দায়ী নয়। জলবায়ুর পরিবর্তনজনিত দুর্যোগের কারণে লাখ লাখ মানুষ হতদরিদ্র হয়ে পড়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে রক্ষা করতে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর যৌথ কর্মপন্থা গ্রহণ করা জরুরি।

পরিকল্পনামন্ত্রী বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সহায়তায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধানেও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা চান তিনি। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এদের কারণে বাংলাদেশের উন্নয়ন কার্যক্রমে চাপ তৈরি হয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের সরকার ক্ষতিগ্রস্ত ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জীবনমান উন্নয়নে জাতীয় সামাজিক সুরক্ষা কৌশলপত্র তৈরি করেছে। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির মাধ্যমে ৭৬ লাখ মানুষে বিভিন্নভাবে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। জাতীয় বাজেটের ১৩ দশমিক ৮১ শতাংশ অর্থ ব্যয় করা হচ্ছে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে, যা জিডিপির ২ দশমিক ৫৩ শতাংশ।

বাংলাদেশের নারী অগ্রগতি তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, গত এক দশকে শিক্ষা খাতে লিঙ্গবৈষম্য কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে সফল হয়েছে বাংলাদেশ। ৯৯ দশমিক ৪ শতাংশ নারী প্রাথমিক শিক্ষায় প্রবেশ করছে। নারী ক্ষমতায়নেও অনেক অগ্রসর হয়েছে বাংলাদেশ।

আরকে//