ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

এসএসসি ৯৮- এইচএসসি ২০০০ ব্যাচের ইফতার মাহফিল ৩১ মে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:০৫ এএম, ২৯ মে ২০১৯ বুধবার

মাত্র সাতজন দিয়ে শুরু আজ আট হাজার সদস্যের এক বিশাল মেলাবন্ধন। ২১ বছর আগে স্কুল আর ১৯ বছর আগে কলেজের গণ্ডি ছাড়লেও সারাদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ব্যাচমেটদের একত্র করতে এই গ্রুপ তৈরি করা হয়। বর্তমানে গ্রুপের সদস্য সংখ্যা আট হাজার ছাড়িয়েছে। কিন্তু বেশির ভাগ সদস্য একে অন্যকে চিনে না। দেখা হয়নি একজনের সঙ্গে অন্যজনের। তাই এবার ৩১ মে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কারস ক্যাফেটেরিয়ায় আয়োজন করেছে ইফতার মাহফিলের।

গ্রুপের সদস্য শাকিল আহমেদ বলেন, এতদিন যাদের সঙ্গে অনলাইনে বন্ধুত্বের কথা চালাচালি হয়েছে, এবার বাস্তবে তাদের দেখবো। দেড় যুগের বেশি আগে হঠাৎ ফেলে আসা স্কুল কলেজ জীবন যেন আমাদের কাছে এখন রঙিন আলোয় উদ্ভাসিত হচ্ছে এ ইফতার মাহফিলের মাধ্যমে।

আয়োজক সাবরিনা নওরিন লিমু বলেন, সামনের বছর আরও বড় আয়োজনে সব বন্ধুদের নিয়ে ইফতার মাহফিলের আয়োজনের কথা ভাবছি আমরা।

ইফতার মাহফিলের অন্যতম আয়োজন ফারুক উজ জামান বলেন, শুরুতে খুব অল্প কয়েকজন বন্ধু মিলে যখন পরিকল্পনাটি করছিলাম, তখন ভাবতেও পারিনি এত সাড়া পাবো। আমাদের রেজিস্ট্রেশনের কোটা মাত্র একদিনে টার্গেট ফিলআপ হয়ে যায়। এখন গ্রুপের অনেকেই ফোন করছে, বিকাশে টাকা পাঠাতে চাইছে, কিন্তু সবাইকে জায়গা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

জনতা ব্যাংকের কর্মকর্তা ফজলুল হক রাসেল বলেন, আমাদের মধ্যে অনেকে আবার পেশাগত জীবনে পরিচিত। কিন্তু আমরা যে এক ব্যাচে পড়াশুনা করেছি, তা কোনোদিন জানতামই এ গ্রুপে না এলে। বড় ভাই বলে যাদের এতদিন সম্মান করেছি, এখন দেখা যাচ্ছে তারা সব আমাদের বন্ধু।

রংধনু গ্রুপের মিডিয়া হেড সাহেদ আল কামাল রাজিব এই গ্রুপ নিয়ে খুব উচ্ছ্বসিত।

গ্রুপের সদস্য আমিনুল ইসলাম বলেন, সুনামগঞ্জে সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলী আমি। ডুয়েটে পড়েছি। কিন্তু সারাদেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আমাদের ব্যাচের হাজারো শিক্ষার্থী আছে, যাদের সঙ্গে কোনদিন কথা হয়নি, দেখা হয়নি, তাদের সবাইকে তুই তুই করে সম্বোধন করছি, গল্প করছি স্মৃতি রোমন্থন করছি, এটা সত্যি দারুণ এক ব্যাপার। গ্রুপের অ্যাডমিন ইফতার মাহফিলের সার্বিক দায়িত্ব পালন করবেন।

একে//