ঢাকা, বুধবার   ৩০ জুলাই ২০২৫,   শ্রাবণ ১৪ ১৪৩২

মোদির শপথ অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন সোনিয়া-রাহুল

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:১৪ এএম, ৩০ মে ২০১৯ বৃহস্পতিবার

ভারতের সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনে জয়ী নরেন্দ্র মোদির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহন অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী ও কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী।

বৃহস্পতিবার কংগ্রেসের একটি সূত্র জানিয়েছে, রাষ্ট্রপতি ভবনে মোদির শপথ অনুষ্ঠানে যাবেন রাহুল গান্ধী, সোনিয়া গান্ধী, মনমোহন সিং সহ আরও অনেকে।

ফলে রাষ্ট্রপতি ভবনে রাজনীতিবিদ, বিশ্বনেতা ও সেলেব্রিটিদের উপস্থিতিতে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান জমজমাট হতে চলেছে।

এবারের নির্বাচনের প্রচারে মোদী ও বিজেপির অন্যান্য নেতারা গান্ধী পরিবারকে আক্রমণ করেছেন বারবার। এমনকী প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকেও কটাক্ষ করা হয়েছে। যদিও রাহুল-প্রিয়াঙ্কা তার উত্তর দিয়েছেন।

এত কিছুর পরও অবশেষে মোদির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধী।

এদিকে, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি এ অনুষ্ঠানে প্রথমে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও পরে তা বাতিল করেছেন।

বুধবার ভারতের স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ১৮ মিনিটে তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা ব্যানার্জি টুইট করে শপথ অনুষ্ঠানে না যাওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানান।

টুইটে মমতা অভিযোগ করে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর শপথগ্রহণের মতো একটি অনুষ্ঠানকে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে একটি দল।

প্রসঙ্গত, ভারতের সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনে বিপুল জয়ের পর নরেন্দ্র মোদি দ্বিতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার শপথ নিতে যাচ্ছেন।

সন্ধ্যা ৭টায় রাইসিনা হিলসে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ তাকে শপথ পাঠ করাবেন। তার সঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভাও শপথ নেবে।

এ অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

মোদির প্রথমবারের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রতিবেশি দেশগুলোর রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু এবার বিমসটেক সদস্যদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

পাকিস্তানকে এড়াতে ‘বিমসটেক’ সদস্যভুক্ত দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। কারণ পাকিস্তান বিমসটেকের সদস্য নয়। জানা গেছে বাংলাদেশ, মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, নেপাল ও ভুটানের প্রতিনিধিরা শপথ অনুষ্ঠানে আসছেন।

১১ এপ্রিল থেকে ১৯ মে পর্যন্ত প্রায় দেড় মাস ধরে সাত দফায় লোকসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ২৩ মে একযোগে ফল ঘোষণা করা হয়।

এবারের নির্বাচনে ক্ষমতাসীন এনডিএ জোট ৩৫৩টি আসন। সরকার গঠনের জন্য ৫৪২ আসনের মধ্যে ২৭২টি আসন পেলেই যথেষ্ট ছিল বিজেপির। সেখানে বিজেপি এককভাবে বিজেপি ৩০৩টি আসন পেয়েছে। এ জয়ের মধ্য দিয়ে মোদির ‘আব কি বার ৩০০ পার’ স্লোগানই সত্য হয়।

আর একইসঙ্গে ভারতের ইতিহাসে ঢুকে পড়েন মোদি। তিনিই হলেন ভারতের তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী যিনি পরপর দু’বার একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় এলেন। অর্থাৎ কোনো জোট বা শরিক দলের সাহায্য ছাড়াই সরকার গঠনের জন্য ম্যাজিক ফিগার (২৭২) ছাড়িয়ে গেছে বিজেপির।

এর আগে জওহরলাল নেহরু পরপর তিনবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন কংগ্রেসের হয়ে। ১৯৬৭ সাল ও ১৯৭২ সালে পরপর দু’বার প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। অপরদিকে কংগ্রেসের আসন সংখ্যা বাড়লেও ইউপিএ জোটের ভরাডুবি হয়েছে।

মমতা ব্যানার্জি, চন্দ্রবাবু নাইডু, মায়াবতী-অখিলেশদের জোট গড়ার চেষ্টা করলেও নিজেদের রাজ্যেই তাদের পরাজয় শোচনীয় হয়েছে।