৪ নেতা হত্যা মামলার আসামীরা পলাতক থাকায় কার্যকর হয়নি রায়
প্রকাশিত : ১১:৩১ এএম, ৩ নভেম্বর ২০১৬ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ১১:৩১ এএম, ৩ নভেম্বর ২০১৬ বৃহস্পতিবার
জাতীয় ৪ নেতাকে হত্যা মামলায় দফাদার মারফত আলী শাহ ও দফাদার আবুল হাসেম মৃধা কে নিন্ম আদালতের দেয়া মৃত্যুদন্ড বহাল রেখেই চূড়ান্ত রায় ঘোষনা করেছিলো আপিল বিভাগ। ২০১৩ সালের এপ্রিলে এই রায় ঘোষনার মধ্য দিয়ে বহু প্রতীক্ষিত ও ঐতিহাসিক জেলহত্যা মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হয়েছিলো। তবে বিচার শেষ হলেও আসামীরা পলাতক থাকায় এখনো কার্যকর হয়নি রায়।
১৯৭৫ সালের ৩রা নভেম্বর মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী চার জাতীয় নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমেদ, এম মনসুর আলী ও এএইচএম কামরুজ্জামানকে বন্দী অবস্থায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে হত্যা করা হয়।
পরদিন লালবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়। মামলা দায়েরের ২৩ বছর পর ১৯৯৮ সালের ১৫ অক্টোবর ২৩ জনের বিরুদ্ধে দেয়া হয় অভিযোগপত্র। তবে অভিযোগপত্রে নাম থাকার পরও ২০০৩ সালের মে মাসে জামিনে ছাড়া পেয়ে যায় অবসরপ্রাপ্ত মেজর খায়রুজ্জামান। যোগ দেন পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের মহাপরিচালক পদে। বিএনপি-জামাত জোট সরকার পরবর্তীতে তাকে মালয়েশিয়ায় রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দেয়।
২০০৪ সালের ২০ অক্টোবর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. মতিউর রহমান এ মামলার রায় দেন। রায়ে ১২ জনকে যাবজ্জীবন ও ৩ জনকে ফাসীর আদেশ দেয়া হয়। খালাস পান খায়রুজ্জামান।
বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হলে ২০০৮ সালে হাইকোর্ট মোসলেমের মৃত্যুদন্ড বহাল রাখে। মৃত্যুদন্ড পাওয়া অপর দুই আসামি মারফত আলী ও হাশেম মৃধাকে খালাস দেন। এ ছাড়া যাবজ্জীবন কারাদন্ড পাওয়া ফারুক, শাহরিয়ার রশিদ, বজলুল হুদা ও একেএম মহিউদ্দিন আহমেদকেও খালাস দেন হাইকোর্ট।
পরে হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে সরকার আপিল করলে ২০১৩ সালের ৩০ এপ্রিল আপিল বিভাগ হাইকোর্টের দেওয়ার রায় বাতিল করে দফাদার মারফত আলী শাহ ও দফাদার আবুল হাসেম মৃধার নি¤œ আদালতের দেয়া মৃত্যুদন্ড বহাল রাখেন।
যার পূর্নাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয় আড়াই বছর পর ২০১৫ সালের ১ ডিসেম্বর। পলাতক থাকায় রিভিউ করতে পারেনি আসামীরা।