ঢাকা, শনিবার   ১৮ মে ২০২৪,   জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

সীতাকুণ্ডের শিপ ইয়ার্ডে উচ্চমাত্রার তেজস্ক্রিয় পদার্থসহ তেলবাহী একটি পরিত্যাক্ত জাহাজ রাখার অভিযোগ

প্রকাশিত : ১১:০৯ এএম, ৩ নভেম্বর ২০১৬ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ১১:১০ এএম, ৩ নভেম্বর ২০১৬ বৃহস্পতিবার

সীতাকুণ্ডের একটি শিপ ইয়ার্ডে উচ্চমাত্রার তেজস্ক্রিয় পদার্থসহ তেলবাহী একটি পরিত্যাক্ত জাহাজ রাখার অভিযোগ উঠেছে। ছাড়পত্র ছাড়াই জাহাজটি শিপ ইয়ার্ডে আনা হয়েছে বলে জানিয়েছে পরিবেশ অধিদফতর। বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন বলেও জানান তারা। তবে বিস্ফোরক বলছে, জাহাজটিতে তেজস্ক্রিয় পদার্থ আছে কিনা তা তাদের জানা নেই। বিষয়টি পরমাণু শক্তি কমিশনের মাধ্যমে তদন্তের কথা বলছেন পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা। ’নর্থ সী প্রডিউসার’ নামের এই জাহাজটি নির্মান করা হয়েছিল ১৯৮৪ সালে ডেনমার্কে। পরিত্যক্ত হওয়ার জাহাজটি বিক্রি করে দেয়া হয়। বিভিন্ন হাত ঘুরে সেটি কিনে নেয় জনতা শিপিং কর্পোরেশন নামে একটি প্রতিষ্ঠান। ট্যাংকারটি এখন রয়েছে মাদামবিবির হাটের কাছে একটি শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডে। ডেনমার্কের গবেষনা প্রতিষ্ঠান ’ড্যানওয়াচের’ উদ্ধৃত্তি দিয়ে সেদেশের গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, জাহাজটিতে উচ্চমাত্রার তেজস্ক্রিয় পদার্থ রয়েছে। এরপর নড়ে চড়ে বসেছে পরিবেশ অধিদফতর। বিষয়টি তদন্তে নেমেছেন বলেও জানান কর্মকর্তারা। জাহাজটিকে কাটার জন্যে ছাড়পত্র দিয়েছে বিস্ফোরক অধিদফতর। তবে তেজস্ক্রিয় পদার্থ আছে কিনা তা তাদের জানা নেই। এদিকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার পাশাপাশি ভবিষ্যতে এ ধরনের  ‘ডেড ভ্যাসেল’ আমদানিতে আরো সর্তক হওয়ারও তাগিদ দিয়েছেন পরিবেশবিদ। এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি  শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডের কর্মকর্তারা। তবে টেলিফোনে তেজস্ক্রিয় পদার্থ থাকার কথা অস্বীকার করেছেন ইয়ার্ডের ম্যানেজার জাহাজটিতে তেজস্ক্রিয় পদার্থ আছে কিনা তা দ্রুত নিশ্চিত না হলে বড় ধরণের বিপর্যয় ঘটতে পারে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।