ঢাকা, সোমবার   ০৭ জুলাই ২০২৫,   আষাঢ় ২৩ ১৪৩২

বেকারত্ব ঘোচাতে মোদির নতুন পরিকল্পনা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০২:৩০ পিএম, ৬ জুন ২০১৯ বৃহস্পতিবার

শপথের এক সপ্তাহের মাথায় ৫৭ সদস্যের নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেদ্র মোদি।

ভারতে এই মুহূর্তে বর্তমানে দু`টি বড় সমস্যা-বেকারত্ব সমাধান ও অর্থনীতির গতি বৃদ্ধি।

সেই বেকারত্ব সমাধান এবং অর্থনীতির গতি বৃদ্ধি করতে দু`টি মন্ত্রিপরিষদ কমিটি গঠনের কথা ভাবছেন মোদি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম পরিসংখ্যান মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, গেল ৪৫ বছরে সব থেকে এ বছরই বেকারত্বের হার বৃদ্ধি পায়। ২০১৭-১৮ সালে বেকারত্বে হার ছিল ৬.১ শতাংশ।

গত জানুয়ারিতে ভারতের জাতীয় দৈনিক বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড সংবাদপত্রে এই পরিসংখ্যানটিই আগাম ফাঁস হয়ে গিয়েছিল। যেখানে অঙ্কটা ছিল হুবহু একই। ১৯৭২-৭৩ সালের পর থেকে এই প্রথম এতটা খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমটির পক্ষ থেকে বলা হয়।

এর প্রেক্ষিতে কর্মসংস্থান ও দক্ষতা সংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদ কমিটি গঠন করতে চাইছেন মোদি। যার মূল লক্ষ্যই হবে কর্মসংস্থানের বৃদ্ধি ঘটানো।

অপরটি হলো, ‘বিনিয়োগ বৃদ্ধি সংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদ কমিটি`। যার মূল কাজ হবে অর্থনীতির মন্দগতির মোকাবিলা করা। পাশাপাশি কৃষি ও পরিকাঠামো ক্ষেত্রে বিনিয়োগ বাড়ানো।

গত শুক্রবার দ্বিতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদির শপথ গ্রহণের পরের দিনই সরকার ঘোষণা করে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ত্রৈমাসিক অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হিসেবে লাগাতার তিন নম্বর পতন। গত ১৭টি ত্রৈমাসিক হিসেবে অর্থনীতির সব থেকে ধীরগতি এবারই দেখা গেল। ২০১৮ সালের ত্রৈমাসিক হিসেবে যা ৬.৬ শতাংশে নেমে এসেছে।

ওই হিসেব থেকে পরিষ্কার হয়ে যায়, ভারত আর বিশ্বের দ্রুত অর্থনৈতিক বৃদ্ধিপ্রাপ্ত দেশ নয়। সেই জায়গায় এখন চিন। প্রথম ত্রৈমাসিক হিসেবে তাদের ৬.৪ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে গত দু`বছরে এই প্রথম চীনের পেছনে পড়লো ভারতের অর্থনীতি।

ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মুখ্য পরিসংখ্যানবীদ প্রবীণ শ্রীবাস্তব বলেন, অতীতের হিসেবের সাথে মেলানোটা ঠিক হবে না। সময় পাল্টেছে, এখন ‘নতুন ডিজাইন, নতুন মেট্রিক`।

এ বিষয়ে বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড, গত জানুয়ারি মাসে প্রথম প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ২০১৭ সালের মধ্যবর্তী সময়ে নমুনা সমীক্ষা অফিসের হিসেবে এমন তথ্য পাওয়া গেছে বলে ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়।

যদিও, নির্বাচনের আগে এমন তথ্য ফাঁস হওয়ায় সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, ওই পরিসংখ্যান এখনও প্রস্তুত হয়নি।

লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের নির্বাচনী প্রচারণাটাও ছিল এ দুটো বিষয়কে ঘিরে। যদিও, তারা জোরালো কোনো আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেননি। ফলে, নির্বাচনে যা হওয়ার তাই হয়েছে। নিম্নকক্ষের এ নির্বাচনে ৫৪৫টি আসনে বিপরীতে রাহুলের কংগ্রেস পেয়েছিল মাত্র ৫২টি আসন।

অন্যদিকে অর্থনীতির প্রচার নয়, জাতীয়তাবাদকে ব্যবহার করেই টানা দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসে নরেদ্র মোদির বিজেপি।

এনডিটিভি অবলম্বনে

আই//