ঢাকা, মঙ্গলবার   ৩০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৭ ১৪৩১

শেখ রাসেল জাতীয় উদ্যানের মেলায় উপচে পড়া ভিড়

এম এ সাজেদুল ইসলাম (সাগর), নবাবগঞ্জ (দিনাজপুর) :

প্রকাশিত : ০৭:১৬ পিএম, ৬ জুন ২০১৯ বৃহস্পতিবার

দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে দেশের ঐতিহ্যবাহি শেখ রাসেল জাতীয় উদ্যানে (ঘেষা আশুড়ার বিল) শেখ ফজিলাতুন্নেছা ‍মুজিব কাঠের সেতু উদ্ধোধন করার পর তিনদিন ব্যাপী পর্যটন মেলার আয়োজন করা হয়েছে। বুধবার মেলার প্রথম দিনেই পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়।  

গত ১ জুন দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে জাতীয় উদ্যান ঘেষা আশুড়ার বিলে বা শেখ রাসেল জাতীয় উদ্যানে শেখ ফজিলাতুন্নেছা কাঠের সেতুর উদ্বোধন করা হয়। আঁকাবাঁকা কাঠের এ সেতু উদ্বোধনের পরেই তিন দিন ব্যপি মেলার আয়োজন করেন নবাবগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন। আর ঈদের প্রথম দিনেই মেলায় সকাল থেকেই ছোট বড় নানা শ্রেনীর মানুষের উপছে পড়া ভীড় দেখা গেছে।

কাঠের আঁকাবাঁকা সেতুটি নির্মান কাল থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার পায়। ফলে দেশের পর্যটকদের বেশ  মুগ্ধ করেছে এটি। শেখ ফজিলাতুন্নেছা আঁকাবাঁকা কাঠের সেতুটি এক নজর দেখার জন্য দূর দূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন ভ্রমণ পিপাষু পর্যটকরা। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর মন মাতানো নান্দনিক এই বিলটিতে বর্ষা মৌসুমে দেশি প্রজাতির মাছ, হারিয়ে যাওয়া জাতীয় শাপলা ফুলের বিস্তার ঘটে। সেতুর দু’পাশে বিশাল বন, আর বনের ভেতরে বসার জায়গা, বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা এবং মানুষের ভীড় সব মিলে পর্যটকদের মুগ্ধ করছে।

মেলাকে কেন্দ্র করে বসেছে বিভন্নি ধরণের দোকান, রয়েছে নাগর দোলা এবং বিলে বিভিন্ন রং ও ঢং এর নৌকা। নৌকায় নৌ বিহার উৎসবে মেতেছেন পর্যটকরা।

এ বিষয়ে চরকাই রেঞ্জের বিট অফিসার নিশিকান্ত মালাকার বলেন, ‘প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর মনমাতানো নান্দনিকতায় ভরপুর এই বিলটিতে কাঠের ব্রিজটি র্নিমাণ করায় সৌন্দর্য আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্ষা মৌসুমে দেশি প্রজাতির মাছ, হারিয়ে যাওয়া জাতীয় শাপলা ফুলের বিস্তারসহ নানা উদ্যোগ গ্রহণ কারায় এটি এখন সুন্দর লাগছে।’

নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মশিউর রহমান উপজেলায় যোগদান করার পর থেকেই বিলটির গুরুত্ব অনুধাবন করেন। সেই থেকেই নেওয়া হয় বিভিন্ন উদ্যোগ। শাপলা ফুলের বংশ বিস্তারে চারা রোপণ এবং বিলের ধারে বিভিন্ন প্রজাতির ফুলের চারা লাগানো হয়। জাতীয় উদ্যানের শাল গাছে পাখির অভয়াশ্রমের জন্য মাটির হাড়ি ঝুলিয়ে পাখির আবাসস্থানের ব্যবস্থা করণ করা হয়। পর্যটকেরা এখানে এসে মুগ্ধ হন বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মশিউর রহমান।

তিনি জানান, পর্যটকদের দৃষ্টি আরও যাতে আকৃষ্ট করা যায় সে জন্য উদ্যানটি আধুনিকায়নে উপজেলাসহ বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ নানা উদ্যোগ হতে নিয়েছে।

এমএস/