কৃষক-শ্রমিকের রাষ্ট্র বিনির্মাণে বাম বিকল্প রাজনৈতিক শক্তির জোট প্রয়োজন
প্রকাশিত : ১১:২৮ এএম, ৩ নভেম্বর ২০১৬ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ১১:২৮ এএম, ৩ নভেম্বর ২০১৬ বৃহস্পতিবার
কৃষক-শ্রমিকের রাষ্ট্র বিনির্মাণে বাম বিকল্প রাজনৈতিক শক্তির জোট প্রয়োজন বলে মনে করছেন সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতারা। বিকল্প রাজনীতির ধারা অব্যহত রাখতে জনগনের আস্থা অর্জনে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি সক্ষম বলেও দাবি দলটির নেতাদের। তাদের মতে, উদার গণতান্ত্রিক শক্তিকে বাম গণতান্ত্রিক ফ্রন্টে যুক্ত করলে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় যাওয়াও সম্ভব।
১৯৪৩ থেকে ৪৬ সাল পর্যন্ত ভারতজুড়ে তেভাগা, নানকা, টঙ্ক, তেলেঙ্গনা, কেরালায় পুন্নাপা ভায়লা এবং কায়ূর মতো ঐতিহাসিক কৃষক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে বামপন্থী দলগুলোই। ৫০ এ রাজশাহীর কেন্দ্রীয় কারাগারে খাপড়াওয়ার্ড বিদ্রোহ, কিংবা রমেন মিত্র ও ইলা মিত্রের নেতৃত্বে নাচোলে সাঁওতাল বিদ্রোহ গোটা রাষ্ট্রব্যবস্থায় বামদের নেতৃত্ব দেবার প্রেক্ষাপটও সৃষ্টি করেছিল।
বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনেও কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্ব অনস্বীকার্য।
এর ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ এ গণজাগরণ ও অসহযোগ আন্দোলন, পরে মুক্তিযুদ্ধ। প্রতিটি প্রগতিশীল আন্দোলনের অংশীদার বামরা। তবে মুলধারার রাজনীতি থেকে বিচ্যুত হওয়ায় রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসতে পারেনি তারা।
পার্টির একাদশ কংগ্রেসে রণনীতি দলিল হালনাগাদ করা হয়েছে। এতে প্রাধান্য পেয়েছে প্রগতিশীল উদারনৈতি শক্তি নিয়ে বাম গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট গঠনের ইস্যুটি।
বামপন্থী ২ দল ওয়ার্কার্স পার্টি ও জাসদ মহাজোট ছেড়ে বাম গণতান্ত্রিক ফ্রন্টে যুক্ত হতে চাইলে সুযোগ দেয়ার বিষয়টি কমিউনিস্ট পার্টি বিবেচনায় রাখবে বলেও জানান তারা।