বিশ্ব ব্রেইন টিউমার দিবস আজ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৩:০৫ পিএম, ৮ জুন ২০১৯ শনিবার

আজ বিশ্ব ব্রেইন টিউমার দিবস। মারাত্মক এ রোগ সম্পর্কে মানুষের মাঝে সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে ১৯৯৮ সালে গঠিত ‘জার্মান ব্রেইন টিউমার অ্যাসোসিয়েশন’ নামে একটি দাতব্য সংস্থার উদ্যোগে প্রতিবছর ৮ জুন দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।
ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত রোগীদের প্রতি শ্রদ্ধা ও তাদের পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা জানাতে দিনটি আন্তর্জাতিকভাবে পালন করা হয়।
বাংলাদেশসহ বিশ্বে ব্রেইন টিউমারের প্রকোপ দিন দিন বাড়ছে। কিন্তু এ বিষয়ে সচেতনতামূলক তেমন কোনো কর্মসূচি পালন করা হয় না।
বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মস্তিস্কের কোষের টিউমার হলো ব্রেইন টিউমার। মস্তিস্কের কোনো বিশেষ অঞ্চলের কোষ যখন অনিয়ন্ত্রিতভাবে বেড়ে যায়, তখন তাকে ব্রেইন টিউমার বলে।
মারাত্মক এ রোগে যে কোনো সময় যে কোনো ব্যক্তি আক্রান্ত হতে পারে। তবে, পয়তাল্লিশ বছরের পর এবং ছয় থেকে নয় বছর বয়সীদের মধ্যে এ মৃত্যুর হার আশঙ্কাজনক।
ব্রেইন টিউমার দুই রকমের হতে পারে- বিনাইন বা সিস্ট টিউমার এবং ম্যালিগন্যান্ট টিউমার। কিছু টিউমারের সূত্রপাত মস্তিস্কতেই হয়। এদের প্রাইমারি ব্রেইন টিউমার বলা হয়। আবার কিছু ব্রেইন টিউমারের সূত্রপাত শরীরের অন্য কোনো স্থানের টিউমার থেকে হয়ে থাকে। এদের সেকেন্ডারি বা মেটাস্টাটিক ব্রেইন টিউমার বলে। ম্যালিগন্যান্ট টিউমার হলে এটি কোষের চেয়ে দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং দেহের সর্বত্র দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
ব্রেইন টিউমার নিয়ে জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান জানান, ব্রেইন টিউমার হলে দীর্ঘমেয়াদে মাথাব্যথা, খিঁচুনি হওয়া, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, বমির ভাব বা বমি হওয়া, দৃষ্টিশক্তি নষ্ট হয়ে যাওয়া, কথা জড়িয়ে যাওয়া, কথা বলতে অসুবিধা, আচরণগত পরিবর্তনসহ বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে।
মারাত্মক এ রোগ থেকে প্রতিকার বিষয়ে তিনি বলেন, অনেক সময় চিকিৎসকদের অসতর্কতার কারণে এক রোগের প্রভাব অন্য রোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ধুমপান, কোমলপানীয় ব্যবহারে অনেক ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে। তাই এগুলো থেকে বিরত থাকা জরুরি।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে ব্রেস্ট ক্যান্সার ও জরায়ুর ক্যান্সারের সংখ্যা অনেক বেশি। এর প্রভাবেও ব্রেইন টিউমার হতে পারে। পাশাপাশি আমাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকির দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। অন্যান্য ক্যান্সারের ব্যাপারে সাধারণ মানুষ যতটা সচেতন, মারাত্মক এ ব্যাধি সম্পর্কে ততোটা সচেতন আমরা হতে পারিনি। অথচ, এ রোগের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। সরকারি ও বেসরকারিভাবে এ বিষয়ে সবার সচেতনতা আরো বৃদ্ধি করতে হবে বলে মত দেন এ ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ।
আই//