ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

ঔষধি গুণে ভরপুর জামরুল

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৪:১৮ পিএম, ১০ জুন ২০১৯ সোমবার | আপডেট: ০২:১৫ পিএম, ১২ জুন ২০১৯ বুধবার

ফলের মওসুম চলছে। বিভিন্ন ফলের মধ্যে জামরুলও দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। এই সময়টাতেই সাধারণত জামরুল বাজারে আসে। ফলটি দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি এর গুণাবলীও অনেক।

আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ হতে পর্তুগিজ নাবিকেরা প্রথম এই ফল অত্র অঞ্চলে নিয়ে আসে। ইংরেজি নাম Eugenia javanica। এর আঞ্চলিক নাম অনেক। যেমন- জামরুল, আমরুজ, কোন কোন অঞ্চলে লকট নামেও পরিচিত। জামরুল বিভিন্ন রঙের হয়ে থাকে। তবে সাদা, হালকা সবুজ ও লাল-গোলাপী রঙেরই বেশি দেখা যায়।

জামরুল ফল দেখতে ঘন্টাকৃতির। এ কারণে এটি Bell Fruit নামেও পরিচিত। জামরুল ফলের মধ্যে একটি ছোট বীজ থাকে। এই ফলের গাছ চির সবুজ ও মাঝারি আকারের হয়ে থাকে। মার্চ-এপ্রিল মাসে ফুল আসে এবং মে-জুনে ফল পাকে।

রসালো ও আঁশবিহীন এই ফল হালকা মিষ্টি ও পানি পানি স্বাদের হয়ে থাকে। এটি একটি ভিটামিন বি-২ সমৃদ্ধ ফল। ফলের উপরের অংশ মসৃণ ও তেল তেলে।

জামরুলের পুষ্টিগুণ অনেক। এতে খনিজ পদার্থ রয়েছে কমলার তিন গুণ এবং আম, আনারস ও তরমুজের সমান। ক্যালসিয়ামের পরিমাণ লিচু ও কুলের সমান এবং আঙুরের দ্বিগুণ। আয়রনের পরিমাণ কমলা, আঙুর, পেঁপে ও কাঁঠালের চেয়েও বেশি। ফসফরাসের পরিমাণ আপেল, আঙুর, আম ও কমলার চেয়ে বেশি।

সহজলভ্য জামরুল স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারি। এই ফল হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা রাখে। জামরুলে রয়েছে ক্যান্সার প্রতিরোধের উপাদান। কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে দারুণ কার্যকরি। মস্তিষ্ক ও লিভার সুরক্ষায় জামরুল টনিক হিসাবে কাজ করে। বাত নিরাময়ে এটি ব্যবহার করা হয়। ত্বকের ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকায় এই ফল। লিভার আর কিডনির বিষ দূর করে বিপাক ক্রিয়া সুষ্ঠু রাখতে যেন এক অব্যর্থ টোটকা এই জামরুল। আর এর বিচি ডায়রিয়া প্রতিরোধে ওষুধের মতো কাজ করে।

তথ্যসূত্র : এটিএম নাছিমুজ্জামানের ফল পরিচিতি গ্রন্থ ও ইন্টারনেট।

এএইচ/এসি