ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

থাকছে না জিপিএ ৫ পদ্ধতি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৪৭ পিএম, ১৩ জুন ২০১৯ বৃহস্পতিবার

দীর্ঘদিন থেকে চলে আসা পাবলিক পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পদ্ধতি আর থাকছে না। স্নাতক ও আন্তর্জাতিক শিক্ষা পদ্ধতির সঙ্গে মিল রেখে সিজিপিএ ৪ (কিউমুলেটিভ গ্রেড পয়েন্ট অ্যাভারেজ) এর কথা ভাবছে সরকার।

যা আগামী জেএসসি পরীক্ষা থেকে চালু হতে পারে বলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের একাধিক সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।

১৯৯১ সালে বুয়েটে বাংলাদেশে প্রথমবারের মত গ্রেডিং পদ্ধতি চালু করা হয়। ২০০১ সালে এসএসসি এবং ২০০৩ সালে এইচএসসি তে চালু করা হয়। আর ২০০৯  সাল থেকে শুরু হওয়া জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় (জেএসসি) বিভাগভিত্তিক ফল দেয়া হলেও, ২০১১ সাল থেকে এখানেও গ্রেডিং পদ্ধতি চালু করা হয়।  

গতকাল বুধবার আন্ত শিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। বৈঠকে তিনি সিজিপিএ পুনর্বিন্যাস করে একটি খসড়া উপস্থাপনের নির্দেশ দেন।

আন্ত শিক্ষা বোর্ডের সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বলেন, ‘আন্ত বোর্ডের সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রীর বৈঠকে সিজিপিএ ৫-এর পরিবর্তে ৪-এর মধ্যে ফল প্রকাশে সবাই একমত হয়েছেন। তবে এ ব্যাপারে আমরা বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে বৈঠক করব।

বিশ্বের অন্যান্য দেশের ফল পর্যালোচনা করব। এরপর আগামী এক মাসের মধ্যে সিজিপিএ ৪-এর মধ্যে কিভাবে ফল দেওয়া যায় সে ব্যাপারে একটি খসড়া শিক্ষামন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করবো।

যদি সম্ভব হয় তাহলে চলতি বছরের জেএসসি থেকেই আমরা সিজিপিএ ৪-এর মধ্যে ফল প্রকাশ করতে চাই বলে জানান তিনি।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের একজন শিক্ষা অফিসার জানান, এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, তবে এখনো কোন সিদ্ধান্ত হয়নি।

বর্তমানে দেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সিজিপিএ ৪ এর মধ্যে ফল প্রকাশ  করা হলেও, জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসিতে জিপিএ ৫ এর মধ্যে ফল প্রকাশ করা হয়।

এতে করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি, চাকরি বিশেষ করে যারা উচ্চশিক্ষার জন্য দেশের বাহিরে যান, তাদের বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হয়। কেননা, বিশ্বের অন্যান্য দেশে সবধরণের পরীক্ষায় সিজিপিএ ৪ এর মধ্যে সব ফলপ্রকাশ করা হয়।

এমন শিক্ষা পদ্ধতির কারণে বিদেশে পড়ুয়াদের  এসএসসি ও এইচএসসি সার্টিফিকেটের সমতা করতে যেয়ে নানান জটিলতায় পড়তে হয়। আর আন্তর্জাতিকভাবেও দেশের ফলাফলের সমতা থাকছে না।

তাছাড়া ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হতে যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে, সে এসডিজি অর্জনে শিক্ষা ব্যবস্থার সমতা ও ঢেলে সাজানো অতীব জরুরি বলে মনে করছেন শিক্ষাবিদরা।  

আই//