1. প্রচ্ছদ
2. অর্থ-বাণিজ্য

অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর আমের রাজধানী চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম চাষিরা বাজিমাত করছেন। বিশেষ করে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার পর থেকে শীর্ষে ‘ক্ষীরশাপাতি’ চাষিরা।

চলতি বছরের শুরুতে ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় এবার চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে এ আম। এতে করে গত বছর আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়া শত শত আম চাষি ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রায় ৩১ হাজার ৮২০ হেক্টর জমিতে আমগাছ আছে। চাষ হয় শতাধিক জাতের আম। গাছের সংখ্যা ২৬ লক্ষাধিক।

এর মধ্যে সুস্বাদু আম্রপালি, ল্যাংড়া, গোপালভোগ, ক্ষীরশাপাতি, ফজলি, আশ্বিনা, ক্ষুদি ক্ষীরশা, বৃন্দাবনী, লক্ষ্মণভোগ জাতের আম বেশি চাষ হচ্ছে।

আম চাষিরা জানিয়েছেন, মে মাসের শেষ দিক থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাজারে আম উঠতে শুরু করে। ঈদের পর থেকে জমজমাট আমের বাজার।

এরই মধ্যে শেষ হয়ে গেছে গুটি, কালিভোগ ও গোপালভোগ জাতের আম। বাজার এখন ক্ষীরশাপাতি ও ল্যাংড়া আমের দখলে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের প্রধান দুই আমবাজার শিবগঞ্জের কানসাট ও সদর উপজেলার পুরাতন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বর্তমানে ক্ষীরশাপাতি আম ২৫০০-২৭০০ টাকা ও ল্যাংড়া ১৮০০-২০০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। গত বছর এসব আম বিক্রি হয়েছিল মাত্র ৭০০ টাকা থেকে ১২০০ টাকা মণ দরে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার আম চাষি সুমন মন্ডল বললেন, জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় দেশজুড়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ক্ষীরশাপাতি আমের চাহিদা বেড়েছে। এতে করে আমের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত হয়েছে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়েই ঘুরে দাঁড়াতে চাইছেন আম চাষিরা।

আই//