ঢাকা, বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১১ ১৪৩১

বাজেট নিয়ে ৭০ শতাংশ খুশি বিজিএমইএ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৩৭ পিএম, ১৩ জুন ২০১৯ বৃহস্পতিবার

প্রস্তাবিত ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে পোশাক রফতানিতে ১ শতাংশ নগদ সহায়তা দেওয়ায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামালকে সাধুবাদ জানিয়ে বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা হক বলেছেন, বাজেটে আমরা শতভাগ খুশি না হলেও ৭০ শতাংশ খুশি হয়েছি। পোশাকখাতে এবার কিছু বেশি বরাদ্দ পেয়েছি। বাজেট এবার ভালো হয়েছে, এই বাজেট জনকল্যাণমুখী।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ সভাপতি এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনটি ফেসবুকে লাইভ করা হয়।

এরআগে, বিকাল ৩টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়। পরে জাতীয় সংসদ ভবনে বাজেটের বক্তৃতা শুরু করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তবে বাজেট বক্তৃতার সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাজেট পেশ করেন।

প্রস্তাবিত বাজেটে তৈরি পোশাকের চারটি খাতে বিদ্যমান ৪ শতাংশ রফতানি প্রণোদনার পাশাপাশি নতুন অর্থবছরে বাকি সব খাতের জন্য এক শতাংশ হারে রফতানি প্রণোদনার প্রস্তাব করা হয়। এজন্য আসন্ন অর্থবছরের বাজেটে আরও দুই হাজার ৮২৫ কোটি টাকার বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়।

এর প্রতিক্রিয়ায় বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, এই খাত এখন যে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি সেখানে এই বরাদ্দও আমরা যৎসামান্য মনে করি।প্রণোদনা অন্তত ৩ শতাংশ দিলে আমাদের জন্য ভালো হতো।

রুবানা হক বলেন, এবারের বাজেটে গতানুগতিকের বাইরে অনেকগুলো নতুন খাতকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে সামাজিক বেষ্টনীর পরিধি বাড়ানো হয়েছে, প্রবাসী আয়কে উৎসাহিত করার জন্য শতকরা ২ শতাংশ হারে নগদ সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

পোশাক শ্রমিকদের যেন সামাজিক সুরক্ষা খাতের অধীনে আনার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, বাজেটের আগে আমরা এটি প্রস্তাব করেছিলাম কিন্তু প্রস্তাবিত বাজেটে যে খাতগুলো উল্লেখ করা হয়েছে তার মধ্যে পোশাক শ্রমিক নেই। কিন্তু যেহেতু বরাদ্দের পরিমাণ ৭৪ হাজার ৩শ’ ৬৭ কোটি টাকা সেই হিসাব অনুযায়ী পোশাক শ্রমিকদেরও এর আওতায় আনার আহ্বান জানান তিনি।

২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে জনকল্যাণমুখী বাজেট বলে মন্তব্য করেছেন তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র সভাপতি রুবানা হক। তিনি বলেন, বাজেট এবার ভালো হয়েছে, এই বাজেট জনকল্যাণমুখী।

পোশাক রফতানিতে ১ শতাংশ নগদ সহায়তা দেওয়ায় অর্থমন্ত্রীকে সাধুবাদ জানিয়ে রুবানা হক বলেন, বাজেটে আমরা শতভাগ খুশি না হলেও ৭০ শতাংশ খুশি হয়েছি। পোশাকখাতে এবার কিছু বেশি বরাদ্দ পেয়েছি।

১ শতাংশ নগদ সহায়তার প্রস্তাবনা দিলেও বিজিএমইএ’র দাবি ছিল ৩ শতাংশ। এ খাতে আগে কখনো ভর্তুকি না থাকায় এবারের বাজেটে ৩ শতাংশ সহায়তা আশা করেছিলেন বিজিএমইএ সভাপতি।

প্রস্তাবিত বাজেটের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে সামাজিক সুরক্ষা খাতে পোশাক শ্রমিকদের অন্তর্ভুক্ত করার জোর দাবি জানিয়েছেন রুবানা হক।

তিনি বলেন, সামাজিক সুরক্ষার খাতে পোশাক শ্রমিকদের অন্তর্ভুক্ত করার দাবি আমাদের অনেকদিনের। সুরক্ষা খাতে অন্যান্য সংঘঠনের শ্রমিকরা থাকলেও বিজিএমইএ’র শ্রমিকরা নেই। এটি দুঃখজনক এবং আগামীতে সামাজিক সুরক্ষা খাতে বিজিএমইএ’র শ্রমিকদের অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানাই।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বেলা ৩টার কিছুক্ষণ পর জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

আরকে//