ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ৪ ১৪৩০

বৃষ্টি শেষে মাঠে নামলো ভারত-পাকিস্তান

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৭:৫৫ পিএম, ১৬ জুন ২০১৯ রবিবার

ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে বৃষ্টির শঙ্কা ছিল আগে থেকেই। কিন্তু রোববার সকাল থেকে ঝকঝকে রৌদ্র ছিল ম্যানচেস্টারে। খেলাও শুরু হয়েছে নির্ধারিত সময়ে। সেই রোদের সাথে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের ঝলমলে ব্যাটিংয়ে বুঁদ হয়েছিল ক্রিকেট বিশ্ব। তখনই হানা দেয় বৃষ্টি। আধা ঘণ্টা সময়ের মতো বন্ধ থাকে খেলা। তবে বৃষ্টি শেষে আবারও মাঠে গড়িয়েছে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ। বিরতি (ইনিংস ব্রেক) কমিয়ে ১৫ মিনিট করা হয়েছে। ওভার কর্তন করা হয়নি।

এর আগে ৪৬.৪ ওভারের খেলা বন্ধ হয়েছিল। এমন সময়ই নামলো বহুল আকাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি। মুষলধারে বৃষ্টির কারণে শেষ পর্যন্ত থমকে দাঁড়ালো ভারত-পাকিস্তান মহারণ। বন্ধ হয়ে গেলো সবচেয়ে উত্তেজনাকর ম্যাচটি।

বৃষ্টির নামার আগ পর্যন্ত দারুণ অবস্থানে ছিল ভারত। ৪৬.৪ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে বিরাট কোহলির দলের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ৪ উইকেট হারিয়ে ৩০৫ রান। ১৪০ রান করে আউট হন রোহিত শর্মা।

৫৭ রান করে আউট হয়েছে লোকেশ রাহুল। ২৬ রান করে আউট হন হার্দিক পান্ডিয়া। ধোনি করেন ১ রান। বৃষ্টি নামার সময় ৬২ বলে ৭১ রান নিয়ে ব্যাট করছিলেন বিরাট কোহলি। ৩ রান নিয়ে তার সঙ্গী ছিলেন বিজয় শঙ্কর।

১৩৬ রানের মাথায় ওপেনিং জুটি ভেঙেছিলেন ওয়াহাব রিয়াজ। পাকিস্তানি বোলারদের সাফল্যের খাতায় আর কোনো কিছুই যোগ হচ্ছিল ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের দৃঢ়তায়। লোকেশ রাহুলের সঙ্গে ১৩৬ রানের জুটি গড়ার পর বিরাট কোহলির সঙ্গেও ৯৮ রানের বিশাল জুটি গড়ে ফেলেন রোহিত শর্মা।

অবশেষে উইকেটের সঙ্গে সুপার গ্লু লাগিয়ে বসে যাওয়া রোহিত শর্মাকে ফেরালেন পাকিস্তানি পেসার হাসান আলি। ৩৯ তম ওভারে হাসান আলির বলটি শর্ট ফাইন লেগে স্কুপ করতে গিয়েই সোজা ওয়াহাব রিয়াজের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেলেন রোহিত।

ততক্ষণে স্কোরবোর্ডে তার নামের পাশে খেলা হয়ে গেছে ১১৩ বলে ১৪০ রান। ১৪টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৩টি ছক্কায় সাজানো এই ইনিংস। ২৩৪ রানের মাথায় পড়লো দ্বিতীয় উইকেট।

বিশ্বকাপ মানেই পাকিস্তানের ওপর ভারতের আধিপত্য। সেটা আরও একবার প্রমাণ করতে চলেছে ভারতীয়রা। টস হারলেও প্রথমে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েছে বিরাট কোহলির দল এবং ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনারের ব্যাটেই বিশাল সংগ্রহের পথে ছুটছে টিম ইন্ডিয়া।

শিখর ধাওয়ান না থাকার কারণে রোহিত শর্মার সঙ্গে ভারতীয় ইনিংসের সূচনা করেন লোকেশ রাহুল। এই দুই ওপেনারই বলতে গেলে পাকিস্তানি বোলারদের নাকানি-চুবানি খাইয়ে ছেড়েছেন। ২৩.৫ ওভার টিকেছিল ওপেনিং জুটি। তাতেই স্কোরবোর্ডে রান উঠে গেছে ১৩৬।

অবশেষে ভারতীয় ওপেনিং জুটিতে ভাঙন ধরাতে পারলেন পাকিস্তানি পেসার ওয়াহাব রিয়াজ। ২৪তম ওভারের শেষ বলে ফ্রন্ট ফুটে এসে কাভারে খেলতে যান লোকেশ রাহুল। কিন্তু যেভাবে চেয়েছিলেন সেভাবে ব্যাটে-বলে হয়নি। কাভার অঞ্চলে দাঁড়ানো বাবর আজমের হাতে সহজ ক্যাচে পরিণত হন ৭৮ বলে ৫৭ রান করা রাহুল। ৩টি বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় এই রান করেন লোকেশ রাহুল।

এর আগে মোহাম্মদ আমিরের প্রথম ওভারটা বেশ ভালোভাবেই পর্যবেক্ষণ করলো দুই ভারতীয় ওপেনার লোকেশ রাহুল এবং রোহিত শর্মা। যে কারণে প্রথম ওভারেই মেডেন নিয়ে নিলেন আমির।

তবে পর্যবেক্ষপর বুঝলো, এই বোলারকে একটু রয়ে-সয়েই খেলতে হবে। বাকিদের কোনো সুযোগ দেয়া যাবে না। এই পণ করেই সম্ভবত পাকিস্তানের বিপক্ষে ব্যাট করতে নেমেছেন রোহিত আর লোকেশ।

সে কারণেই দেখা যাচ্ছে পাকিস্তানের বাকি বোলারদের কোনো পাত্তাই দিচ্ছে না ভারতের দুই ওপেনার। তাদের দু’জনের ব্যাটে পাকিস্তানের বিপক্ষে দারুণ সূচনা করেছে ভারত।

ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে টস জিতে ভারতকেই প্রথমে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানায় পাকিস্তান। ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকে কিছুটা সাবধানি ব্যাটিং করতে থাকে ভারতের দুই ওপেনার। এরপর ধীরে ধীরে হাত খুলতে থাকে তাদের। এক সময় এসে রান তোলার গতি প্রায় ৬ রানেরেটে গিয়ে পৌঁছায় ভারতের।

আরকে//