ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

ওসি মোয়াজ্জেমকে গ্রেফতারের পর ব্যারিস্টার সুমনের মন্তব্য

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০১:০০ পিএম, ১৭ জুন ২০১৯ সোমবার | আপডেট: ০১:০২ পিএম, ১৭ জুন ২০১৯ সোমবার

অধক্ষ্যের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করায় মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির জবানবন্দি নেওয়ার নামে তাকে হয়রানি করেন ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন। এ হয়রানির ভিডিও নিজের মুঠোফোনে ধারণ করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন মোয়াজ্জেম। পরে অগ্নিসংযোগে নুসরাতকে হত্যা করা হলে তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।

গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির ২০ দিন পর গতকাল রোববার রাজধানীর শাহবাগ থেকে মোয়াজ্জেমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আজ সোমবার দুপুরে তাকে সাইবার ট্রাইব্যুনালে উঠানো হবে বলে জানা যায়।

মোয়াজ্জেমকে গ্রেফতারে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন নুরসাতের পরিবার ও মামলার বাদি ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। আইনজীবী সুমন গতকাল এক সংবাদ মাধ্যমকে বলেন,  ‘এর মধ্য দিয়ে পুলিশের প্রতি সবার আস্থা বাড়বে।‘ সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনকে গ্রেফতারের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি একথা বলেন। মোয়াজ্জেমকে গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে বলে মনে করেন তিনি। ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘ওসি মোয়াজ্জেম গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে এবং নুসরাত যদি ন্যায় বিচার পায় তাহলে বাংলাদেশের ৪৮০টা থানা আমি মনে করি, মেয়েদের বা ভিকটিমদের জন্য নিরাপদ হবে। এ ছাড়া ৪৮০ থানার ওসিরা মোয়াজ্জেমের যে ভাগ্য তা বিবেচনায় ওনারা আরও সচেতন হবেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘বাদী হিসেবে আমি মনে করি, সময় একটু বেশি লাগলেও মোয়াজ্জেমকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে, এটাকেই আমরা পজিটিভলি দেখি।’

উল্লেখ্য, ফেনীতে হত্যাকাণ্ডের শিকার মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির জবানবন্দির ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়ানোর অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের এক মামলায় অভিযুক্ত সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন। মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহানকে গত ৬ এপ্রিল পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়। তার দিন দশেক আগে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ জানাতে সোনাগাজী থানায় যান নুসরাত।

থানার সেই সময়ের ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন নুসরাতকে আপত্তিকর প্রশ্ন করে বিব্রত করেন এবং তা ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। ওই ঘটনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হলে আদালতের নির্দেশে তা তদন্ত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

পিবিআই গত ২৭ মে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিলে ওই দিনই তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। পরোয়ানা জারির দুই দিন পর মোয়াজ্জেম হোসেন হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন।

এমএস/