ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৫ ১৪৩১

সাবেক এমপি রানার জামিন, মুক্তিতে বাধা নেই

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:২১ পিএম, ১৯ জুন ২০১৯ বুধবার | আপডেট: ১২:২৭ পিএম, ১৯ জুন ২০১৯ বুধবার

যুবলীগের দুই নেতাকে হত্যার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় টাঙ্গাইলে সরকারদলীয় সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানাকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। ফলে কারাগার থেকে মুক্তিতে আইনগত আর কোনো বাধা থাকলো না।

আজ বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এসএম মজিবুর রহমানের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদলতে রানার পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট রুশো মোস্তাফা এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ।

বিচারিক আদালতে গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বর ফারুক হত্যা মামলায় এবং ৩০ সেপ্টেম্বর যুবলীগের দুই নেতা হত্যা মামলায় রানার জামিন আবেদন নামঞ্জুর হয়। এরপর হাইকোর্টে আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। গত ৬ মার্চ হাইকোর্ট যুবলীগের দুই নেতা হত্যা মামলায় ও ১৪ মার্চ ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় ছয় মাস করে জামিন পান রানা। তবে যুবলীগ নেতা হত্যা মামলায় পাওয়া জামিন ১৪ মার্চ স্থগিত করেন চেম্বার আদালত। ফলে কারাগার থেকে আর বের হতে পারেননি সাবেক এই এমপি।

আওয়ামী লীগের টাঙ্গাইল জেলা কমিটির সদস্য ফারুক আহমেদকে ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় করা মামলায় তৎকালীন এমপি রানা ২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর আত্মসমর্পণ করলে তাকে কারাগারে পাঠান টাঙ্গাইলের বিচারিক আদালত। এ মামলায় ২০১৭ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি রানা ও তার তিন ভাইসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ওই বছর ৬ সেপ্টেম্বর দণ্ডবিধির ৩০২, ১২০, ৩৪ ধারায় অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে তাদের বিচার শুরু হয়।

অন্যদিকে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাঘিল ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা শামীম ও মামুন ২০১২ সালের ১৬ জুলাই মোটরসাইকেলে টাঙ্গাইল শহরে গিয়ে নিখোঁজ হন। পরদিন শামীমের মা আছিয়া খাতুন টাঙ্গাইল সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। ওই ঘটনায় ২০১৩ সালের ৯ জুলাই মামুনের বাবা টাঙ্গাইল আদালতে হত্যা মামলা করলে তদন্ত করে ওই বছরের ২১ সেপ্টেম্বর মামলাটি তালিকাভুক্ত করে পুলিশ। পরে এ মামলায় গ্রেফতার খন্দকার জাহিদ, শাহাদত হোসেন ও হিরন মিয়া আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়, যাতে আমানুর রহমান খান রানার নাম আসে।