ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৭ ১৪৩১

সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যার দায় সৌদির: জাতিসংঘ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৭:১০ পিএম, ১৯ জুন ২০১৯ বুধবার | আপডেট: ১২:১২ এএম, ২০ জুন ২০১৯ বৃহস্পতিবার

এক তদন্তের পর জাতিসংঘ বলছে, সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগজি হত্যাকাণ্ডের জন্য সৌদি সরকার দায়ী। খাসোগজি হত্যায় সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের প্রত্যক্ষ ভূমিকা নিয়ে আরো তদন্তের জন্য জোর সুপারিশ করেছে জাতিসংঘ।

গত অক্টোবরে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটের ভেতর খাসোগজিকে হত্যার ঘটনা নিয়ে বিশ্বজুড়ে তুমুল তোলপাড় হয়। খাসোগজি সৌদি রাজ পরিবারের একজন সমালোচক ছিলেন, মৃত্যুর আগে বেশ কয়েক বছরে ধরে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছিলেন।

সৌদি সরকার এবং রাজ পরিবার সব সময় খাসোগজির হত্যাকাণ্ডে তাদের হাত থাকার কথা অস্বীকার করে আসছে। অভিযুক্ত কয়েকজনকে আটক করে তাদের বিচারও শুরু হয়েছে সৌদি আরবে। কিন্তু জাতিসংঘের তদন্তকারীরা বলছেন, সৌদি বিচার প্রক্রিয়ার মান গ্রহণযোগ্য নয়, এবং তা স্থগিত করা উচিৎ।

প্রধান হোতা যুবরাজ সালমান:

জাতিসংঘের তদন্ত রিপোর্টে খুব স্পষ্ট করে বলা হয়েছে যে, জামাল খাসোগজিকে সূক্ষ্মভাবে পরিকল্পনা করে হত্যা করা হয়েছে, এবং এর দায় সৌদি রাষ্ট্রের বলে জানিয়েছেন বিদেশী এক গণমাধ্যমের সাংবাদিক। জাতিসংঘের রিপোর্ট বলছে, `কে বা কারা এই হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা কার্যকর করেছে, তা খুব একটা প্রাসঙ্গিক নয়, যেটা গুরুত্বপূর্ণ তা হলো রাষ্ট্রের পক্ষে তারা সেই কাজ করেছে।`

জাতিসংঘ তদন্তকারীরা আরও বলছেন, খাসোগজি হত্যার পেছনে যুবরাজ মোহাম্মদসহ সৌদি সরকারের আরো কয়েকজন ক্ষমতাবান ব্যক্তির প্রত্যক্ষ ভূমিকা তদন্তের জন্য `বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ` তারা পেয়েছেন।

যেভাবে খাসোগজিকে হত্যা করা হয়েছে সেটাকে নির্যাতন বলে বর্ণনা করেছে জাতিসংঘ। আরও বলা হয়েছে, হত্যাকাণ্ডের তদন্তে তুরস্কের প্রয়াসকে সৌদি আরব বাধাগ্রস্ত করেছে। জাতিসংঘ বলছে, খাসোগজি হত্যায় সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের প্রত্যক্ষ ভূমিকা তদন্তের পেছনে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ:

খাসোগজি হত্যাকাণ্ডের বিচার যেভাবে সৌদি আরব করছে তা প্রত্যাখ্যান করেছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘ বলছে, এই হত্যাকাণ্ড একটি `অন্তর্জাতিক অপরাধ` এবং এর বিচারের অধিকার শুধু সৌদি আরবের নয়। এই হত্যাকাণ্ড যেহেতু তুরস্কে সংঘটিত হয়েছে এবং খাসোগজি যেহেতু যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা ছিলেন, সুতরাং এই হত্যাকাণ্ডের বিচারের অধিকার তুরস্ক এবং যুক্তরাষ্ট্রেরও রয়েছে।

সূত্র: বিবিসি।

এমএস/এসি