ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

বিদ্যুৎ অপচয় রোধে নেয়া হচ্ছে ১০ পদক্ষেপ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:৫৮ পিএম, ১৯ জুন ২০১৯ বুধবার | আপডেট: ১১:৪৪ পিএম, ১৯ জুন ২০১৯ বুধবার

অবৈধ বিদ্যুৎ ও গ্যাসের ব্যবহার বন্ধ, মিটার টেম্পারিং এবং সকল অপচয় রোধকল্পে বেশকিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে বিদ্যুতের ক্ষেত্রে পাঁচটি এবং গ্যাসের ৫টি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সংসদে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এসব তথ্য জানান।

বুধবার স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বাজেট অধিবেশনে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সদস্য এম. আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব তথ্য জানান।

সংসদ সদস্য মোহাম্মদ শহিদ ইসলামের লিখিত প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ বলেন, দেশে এ যাবৎ আবিষ্কৃত ২৭টি গ্যাস ক্ষেত্রের মধ্যে ২০ টি থেকে গ্যাস উৎপাদন হচ্ছে। এ সকল গ্যাস ক্ষেত্রে খননকৃত ১৫টি থেকে গ্যাস উত্তোলন করা হতো। বর্তমানে ১২টি কূপের মাধ্যমে গ্যাস উত্তোলন করা হচ্ছে। যার উত্তোলনযোগ্য মজুদ ২৭.৮১ ট্রিলিয়ন ঘনফুট (টিসিএফ)। গত এপ্রিল পর্যন্ত মোট ১৬.৮৯ টিসিএফ গ্যাস উত্তোলন করা হয়েছে। ফলে অবশিষ্ট মজুদের পরিমাণ ১১.০৫ টিসিএফ।

এছাড়া মো. মুজিবুল হকের প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ বলেন, অবৈধ বিদ্যুৎ ও গ্যাসের ব্যবহার বন্ধ, মিটার টেম্পারিং এবং সকল অপচয় রোধকল্পে বেশকিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে বিদ্যুতের ক্ষেত্রে পাঁচটি এবং গ্যাসের ৫টি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

একই প্রশ্নকর্তার অপর প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, বর্তমানে দেশের প্রায় ৯৩ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় রয়েছে। বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী ২০২০ সালের মধ্যেই দেশের শতভাগ জনগণকে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।

সংসদে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তির পর ৫টি আন্তর্জাতিক তেল কোম্পানির (আইওসি) সঙ্গে ৪টি ব্লকের জন্য উৎপাদন বন্টন চুক্তি (পিএসসি) স্বাক্ষরিত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এই চুক্তির মাধ্যমে গভীর এবং অগভীর সমুদ্রে অনুসন্ধান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এ সকল ব্লকে প্রায় ১৩ হাজার লাইন কিলোমিটার ২ ডি সাইসমিক সার্ভে এবং ৩০৫ বর্গ কিলোমিটার ৩ডি সাইসমিক সার্ভে সম্পন্ন হয়েছে। অগভীর সমুদ্র ব্লকে ২০২১ সালের মার্চ মাসের মধ্যে চারটি অনুসন্ধান কূপ খনন করা হবে।

মোহাম্মদ শহিদ ইসলাম এমপির প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, মাতারবাড়ী ২৬০০ মেগাওয়াট আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কোল ফায়ার্ড পাওয়ার প্রজেক্ট এর ইপিসি কন্ট্রাক্টরের কার্যক্রম ২০১৭ সালের ২২ আগস্ট শুরু হলেও গত এপ্রিল’১৯ পর্যন্ত ইপিসি কাজের অগ্রগতি ১৮.৩ শতাংশ এবং মে পর্যন্ত ভৌত অগ্রগতি ২৪.৩৮ শতাংশ।

নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ বলেন, দেশে ব্যাপক হারে সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে বেসরকারি খাতে মোট ৬৮৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১১টি গ্রিড টাইড বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়েছে।

আরকে//