ঢাকা, সোমবার   ০৬ মে ২০২৪,   বৈশাখ ২৩ ১৪৩১

ভারতকে ২২৪ রানে থামালো আফগানিস্তান

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৭:১৬ পিএম, ২২ জুন ২০১৯ শনিবার | আপডেট: ০৮:০৯ পিএম, ২২ জুন ২০১৯ শনিবার

বিশ্বকাপের ২৮তম ম্যাচে মুখোমুখি এখন পর্যন্ত কোনো জয়ের দেখা না পাওয়া আফগানিস্তান এবং কোনো ম্যাচে না হারা ভারত। ম্যাচে টস হেরে ফিল্ডিং করতে নেমে স্পিন ও পেস এ্যাটাক দিয়ে শুরু থেকেই ভারতকে চেপে ধরে আফগানিস্তান। যার ফল হাতেহাতেই পায় গুলবাদিন নাঈবের দল।  ভারতকে ২২৪ রানেই ইনিংস শেষ করতে বাধ্য করে দলটি।

হ্যাঁ টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় শক্তিশালী ভারত। দলীয় সাত রানে প্রথম এবং ৬৪ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারিয়ে বসে তারা। রানের চাকা ঘুরানো কেএল রাহুলকে ফিরিয়ে দেন মোহাম্মদ নবী। নিজের করা প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই রাহুলকে ফেরান মোহাম্মদ নবী। রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে ৫৩ বলে ৩০ রান করা রাহুল হজরতুল্লাহ জাজাইয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন।

এর আগে, দলীয় মাত্র ৭ রানেই ফেরেন ওপেনার রোহিত শর্মা। ব্যক্তিগত এক রানে মুজিব উর রহমানের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি। তবে কেএল রাহুলকে সঙ্গে নিয়ে দলের প্রাথমিক বিপর্যয়কে সামাল দেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ১০ ওভারে ৫৭ রান সংগ্রহ করে ওই জুটি।

পরে তৃতীয় উইকেটে বিজয় শঙ্করকে নিয়ে গড়েন আরো একটি পঞ্চাশোর্ধ জুটি। ১১.৫ ওভার ব্যাপ্তি ৫৮ রানের জুটিটি ভাঙ্গেন আরেক স্পিনার রহমত শাহ। ব্যক্তিগত ২৯ রান করে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন বিজয় শঙ্কর। আম্পায়ার আলিম দার তাঁকে আউট ঘোষণা করেন। তবে বলটি লেগ স্ট্যাম্প বরাবর প্যাডে আঘাত হানলে রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি শঙ্কর। ৪১ বল খেলে দুটি বাউন্ডারি হাকান তিনি।

তৃতীয় উইকেট হারানোর মাত্র ১৩ রান পরেই আসল ধাক্কাটা খায় ভারত। কারণ ১৩৫ রানেই যে আউট হন দলটির প্রাণ ভোমরা অধিনায়ক বিরাট কোহলি। চলতি বিশ্বকাপে টানা তৃতীয় ফিফটি হাঁকিয়ে মোহাম্মদ নবীর দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন তিনি। আউট হওয়ার আগে ৬৩ বল মোকাবেলায় পাঁচটি চারের মারে ৬৭ রান করেন ভারত অধিনায়ক। যদিও এই ম্যাচে শচিন তেন্ডুলকারের দ্রুততম ২০ হাজার আন্তর্জাতিক রানের রেকর্ড ভাঙার সুযোগ ছিলো তাঁর। সেজন্য তাঁকে করতে হতো ১০৪ রান।

কোহলির আউটের পর ক্রিজে আসেন কেদার যাদব। চার উইকেট হারিয়ে চাপের মধ্যে থেকে ধোনিকে সাথে নিয়ে গড়েন ৫৭ রানের একটি মূল্যবান জুটি। ভারতকে দুইশ`র কাছাকাছি পৌঁছে দেয়া এই জুটি ভাঙেন আফগান হিরো রশিদ খান। তাঁর লেগস্পিনে স্ট্যাম্পিং হওয়ার আগে ৫২ বলে তিন বাউন্ডারিতে ২৮ রান করেন এমএস ধোনি। ফলে ১৯২ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় অলব্লুজ। এর এক বল আগেই অবশ্য কেদার যাদবকে রান আউট করার সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন রশিদ খান। ধোনিকে করা ওই বলটি থেকে নিজের বলে নিজে যতক্ষণে ফিল্ডিং করেন ততক্ষণে কেদার দৌড়ে ধোনির প্রান্তের মাঝামাঝি চলে যান। কিন্তু সহজ এই রান আউটটি করতে পারেননি আফগান লেগস্পিনার। 

ধোনি ফেরার পর ক্রিজে এসে কেদার যাদবের সাথে জুটি বাধেন হার্ডহিটার হার্দিক পান্ডিয়া। তবে তেমন কিছু করার আগেই তাঁকে মাঠ ছাড়া করেন ডানহাতি পেসার আফতাব আলম। উইকেটের পিছনে ক্যাচ দিয়ে হার্দিক ফেরেন ৯ বলে ৭ রান করে।

এরপর শেষ ওভারের তৃতীয় বলে শামিকে বোল্ড করেন আফগান ক্যাপ্টেন ডানহাতি পেসার গুলবাদিন নাঈব। চতুর্থ বলে এক রান দিয়ে পঞ্চম বলেই আউট করেন এরই মাঝে ফিফটি হাঁকানো কেদার যাদবকে। ৬৮ বল খেলে তিন চার ও এক ছক্কায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫২ রান করেন কেদার।  ফলে নির্ধারিত ওভার শেষে আট উইকেট হারিয়ে ২২৪ রানে থামে ভারত।

আফগানদের হয়ে নবী ও নাঈব ২টি করে এবং মুজিব, রশিদ ও আফতাব ১টি করে উইকেট লাভ করেন।

বর্তমান বিশ্ব ক্রিকেটে ভারত যদিও অন্যতম পরাশক্তি, তবুও আফগানদের লক্ষ্য থাকবে ম্যাচ জেতার। কেননা বিশ্বকাপের আসরে এখন পর্যন্ত ৫টি ম্যাচের একটিতেও জয়ের মুখ দেখেনি তারা। অন্যদিকে এই ম্যাচ জিতলে ভারত চলে আসবে পয়েন্ট টেবিলের তিন নম্বরে।

এসি