ঢাকা, সোমবার   ০৬ মে ২০২৪,   বৈশাখ ২২ ১৪৩১

জয়ের গন্ধ পাচ্ছে পাকিস্তান!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:১৯ পিএম, ২৩ জুন ২০১৯ রবিবার | আপডেট: ১২:২১ পিএম, ২৪ জুন ২০১৯ সোমবার

প্রোটিয়াদের বিপক্ষে `ডু-অর-ডাই` ম্যাচে জয়ের বিকল্প ভাবছে না পাকিস্তান। তাইতো ৩০৯ রানের চ্যালেঞ্জ দিয়ে শুরুতেই প্রতিপক্ষের দুর্বল জায়গায় আঘাত হানতে আক্রমণ সাজিয়েছে। দ্রুতই আমলাকে ফিরিয়ে দিয়ে তাতে সফলও হয়েছে সরফরাজ বাহিনী। পরে আরও তিন উইকেট তুলে নিয়ে জয়ের গন্ধ পেতে শুরু করেছে পাকিস্তান।

স্পিনে দুর্বল প্রোটিয়াদের ইনিংসের শুরুতেই হাফিজকে দিয়ে স্পিন আক্রমণ চালান সরফরাজ। ওয়াইড দিয়ে শুরু করা হাফিজ সে ওভারে ৪ রান দিলেও পরের ওভারের প্রথম বলেই সুইং অস্ত্রে আমলাকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন আমির। আম্পায়ার আবেদনে সাড়া না দিলে রিভিউ নিয়েই উল্লাসে মাতেন পাকিস্তানিরা।

আর এর ফলে বড় রান তাড়া করতে নেমে দলীয় ৪ রানেই মূল্যবান প্রথম উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। আমলা ফিরে গেলে বাঁহাতি ওপেনার কুইন্টন ডি ককের সঙ্গে জুটি বাঁধেন ক্যাপ্টেন ডু প্লেসিস। ১০৯ বলে ৮৭ রান সংগ্রহ করে তারা যখন পাকিস্তানকে চোখ রাঙাচ্ছিলেন, ঠিক তখনই ডি কককে ডিপ মিডউইকেটে ইমামের ক্যাচ বানিয়ে ব্রেকথ্রু এনে দেন লেগ স্পিনার শাদাব খান। আর এতেই উজ্জিবিত হয়ে ওঠে ঝিমিয়ে পড়া পাকিস্তান।

আউট হওয়ার আগে ৬০ বল মোকাবেলা করে তিনটি চার আর দুটি বিশাল ছক্কায় ৪৭ রানের ইনিংস খেলেন ডি কক। এই বাঁহাতি ওপেনার ফিরে গেলে ক্রিজে এসে প্লেসিসের সাথে জুটি বাঁধেন ডানহাতি এইডেন মার্করাম। তবে তাকে বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে দেননি সেই শাদাব খান। তার স্পিন ভেল্কিতে বোল্ড হওয়ার আগে ১৬ বলে মাত্র ৭ রান করতে সামর্থ হন প্রোটিয়া এই মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান।

এরপর ক্রিজে নতুন আসা ভ্যান ডার ডুসেন এর সাথে ৩৩ রানের জুটি গড়ে আমিরের শিকার হন ক্যাপ্টেন ডু প্লেসিস। উড়িয়ে মারতে গিয়ে সরফরাজের মাথার উপরে তুলে দেন আমিরের করা ৩০তম ওভারের তৃতীয় ওই বলটি। যা গ্লাভসবন্দি করতে একটুও ভুল করেননি পাকিস্তানি ক্যাপ্টেন। ফলে ১৩৬ রানেই ৪ উইকেট হারায় দঃ আফ্রিকা।

প্লেসিসের আউটের পর ক্রিজে এসে ডুসেনের সঙ্গে জুটি বাঁধেন কিলার খ্যাত ডেভিড মিলার। ৩৫ ওভার শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১৬০ রান। ডুসেন ২৩ রানে আর মিলার ১৭ রানে ক্রিজে আছেন।

এর আগে হারিস সোহেলের ঝোড়ো ব্যাটিং আর বাবর আজমের ফিফটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে এশিয়ার আনপ্রেডিক্টেবল দলটি। টুর্নামেন্টজুড়ে খারাপ করা প্রোটিয়া বোলারদের বেধড়ক পিটিয়ে নির্ধারিত ওভারে ৩০৮ রান করেছে সরফরাজ বাহিনী।

এসি