ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

ছবিতে দেখুন নুসরাতের বিয়ে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:২১ পিএম, ২৪ জুন ২০১৯ সোমবার | আপডেট: ০৫:২৭ পিএম, ২৪ জুন ২০১৯ সোমবার

অবশেষে দীর্ঘদিনের সম্পর্ককে পূর্ণতা দিয়ে ব্যবসায়ী নিখিল জৈনের সঙ্গে বিয়ের পিরিতে বসলেন টালিউড অভিনেত্রী-সংসদ সদস্য নুসরাত জাহান। তুরস্কের বোদরুমে জাকজঁমক আয়োজনের মাধ্যমে বিয়ে হয় তাদের। অনুষ্ঠানে টালিউড থেকে একমাত্র আমন্ত্রিত ছিলেন নুসরাতের প্রিয় বান্ধবী মিমি চক্রবর্তী।

গত ১৯ জুন তুরস্কের বন্দর শহর বোদরুমের ‘সিক্স সেন্সেস কাপলাংকায়া’ হোটেলে বিয়ে করেন নুসরাত।

রাজকীয় এ বিয়েতে টুকটুকে লাল লেহেঙ্গা-চোলিতে সেজেছিলেন নুসরাত। সঙ্গে ছিল ভারী গয়নাও। গলায় গোলাপের মালা। আর নিখিল পরেছিলেন ক্রিম কালারের শেরওয়ানি। সেই ছবি সোশাল মিডিয়ায় আসতে না আসতেই ভাইরালও হয়ে যায়।

দেখে নিন সেই হাই প্রোফাইল বিয়ের কিছু না দেখা মুহূর্ত:

বোদরুমে টলিউড থেকে একমাত্র আমন্ত্রিত ছিলেন নুসরতের ‘বেস্ট বাডি’ নব নির্বাচিত আর এক তৃণমূল সংসদ সদস্য অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। সাজগোজ, ডিজাইনার ড্রেসের দিক থেকে মিমিও কিন্তু কোনও অংশে কম যান না।

নুসরাতের বিয়ে নিয়ে তার ফ্যানদের মধ্যে বিয়ের বেশ কিছু দিন আগে থেকেই হাইপ তৈরি হয়েছিল। তিনি নিজেও সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করছিলেন হলদি, মেহেন্দি প্রমুখ বিয়ের অনুষ্ঠানের ছবি যা নজর কাড়ছিল সবার।

বিয়েতে নুসরাত পরেছিলেন ডিজাইনার সব্যসাচী মুখোপাধ্যায়ের লেহেঙ্গা। রং ছিল লাল। প্রত্যেকটি বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য ছিল ভিন্ন ভিন্ন থিম।

নিখিলের সঙ্গেও যে মিমির দারুণ ভাব জমে গিয়েছে, তা এই ছবিটি থেকেই বোঝা যাচ্ছে।

নুসরাতের বিয়েতে সবচেয়ে আকর্ষণীয় অনুষ্ঠান ছিল ‘হোয়াইট ওয়েডিং। এর জন্য নুসরাত বেছেছিলেন মিন্ট গ্রিন এবং সাদার মিশেলে ড্রেস।

খাওয়া দাওয়ার আয়োজনও ছিল বিস্তর। ভারতীয় কুইজিনের পাশাপাশি স্থানীয় খাবারেরও ব্যবস্থা ছিল।

দেশে ফেরার পর টলিউডের বাকি অভিনেতা, বন্ধু বান্ধব ও রাজনৈতিক সহকর্মীদের নিয়ে রিসেপশনের প্ল্যানে আছেন নব দম্পতি। 

উল্লেখ্য, দেশে ফিরে ২৫ জুনের পরে আইনি মতে বিয়ে সারবেন নুসরাত-নিখিল। এক-একটি অনুষ্ঠানের জন্য থিম অনুযায়ী পোশাক পছন্দ করেছিলেন নায়িকা। বিয়ের পরে রাতের পার্টিতে নায়িকা ফিরে গিয়েছিলেন ওয়েস্টার্ন গ্ল্যামারাস পোশাকে। হোয়াইট ওয়েডিংয়ের জন্য নুসরাত পছন্দ করেন মিন্ট গ্রিন এবং সাদার মিশেলে ড্রেস।

প্রতিটি অনুষ্ঠানেই খাওয়া-দাওয়ার বিস্তারিত আয়োজন হয়েছে। বিয়ের দিন মেনুতে ছিল স্থানীয় কুইজ়িন এবং ভারতীয় খাবার। শোনা যাচ্ছে, বিয়ের পরে ইউরোপের কোনও জায়গায় মধুচন্দ্রিমায় যাবেন নব দম্পতি।

টিআই/