ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১০ ১৪৩১

তাশি লাপচা অতিক্রম করলেন প্রথম বাংলাদেশি নারী শায়লা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৩:০৭ পিএম, ২৬ জুন ২০১৯ বুধবার | আপডেট: ০৫:২৯ পিএম, ১৬ জুলাই ২০১৯ মঙ্গলবার

হিমালয়ের অত্যন্ত দুর্গম পাস ‘তাশি লাপচা’ অতিক্রম করলেন শায়লা পারভীন বীথি। প্রথম বাংলাদেশি নারী হিসেবে এ কৃতিত্ব অর্জন করলেন তিনি। আর ৫ হাজার ৭৫০ মিটার উঁচু তাশি লাপচা পাস অতিক্রমের রোমাঞ্চকর নানা ঘটনাও গণমাধ্যমকে জানালেন এই পর্বতারোহী।

বাংলা মাউন্টিনিয়ারিং অ্যান্ড ট্র্যাকিং ক্লাবের (বিএমটিসি) চার সদস্যের একটি দলসহ তিনি গত ২ জুন এই পাস অতিক্রম করেন। পাসটি হিমালয়ের রোলওয়ালিং এবং সলোখুম্বু অঞ্চলকে সংযুক্ত করেছে।

বিএমটিসি’র সদস্যরা গত ১৫ বছরে হিমালয়ের দুর্গম পর্বতগুলোতে বহু অভিযান চালিয়েছেন। আর এবারে ক্লাবটির লক্ষ্য ছিল হিমালয়ের ফার্চামো পর্বতশিখর জয় ও তাশি লাপচা পাস অতিক্রম করা। খুবই প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে ফার্চামো শিখরের খুব কাছাকাছি গিয়ে ফিরে আসতে হয়েছে। তবে তাশি লাপচা অতিক্রম করতে সক্ষম হন চার অভিযাত্রী।

আর ১৪ দিনের রোমাঞ্চকর সেই অভিযানের কথা জানালেন শায়লা। বলেন, অভিযানে মূল প্রতিবন্ধকতা ছিল প্রতিকূল আবহাওয়া। হিমালয়ের এভারেস্টের চূড়ায় উঠতে গিয়ে এবার বেশ কয়েকজন প্রাণ হারিয়েছেন। আমাদেরও হোয়াইট আউট, তুষারপাতের সঙ্গে ভীষণরকম লড়তে হয়েছে। বড় আকারের পাথরের ওপর দিয়ে যেতে হয়েছে। তবে প্রথম বাংলাদেশি দল হিসেবে আমরা এই পাস অতিক্রম করি। পাসটি অতিক্রম করতে আট ঘণ্টার মতো লেগেছে বলে জানান শায়লা।

এর আগে গত ১৭ মে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ফার্চামো শিখর অভিযানে যাওয়া পর্বতারোহীদের হাতে জাতীয় পতাকা তুলে দিয়েছিলেন অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। দলটি ২১ মে নেপালের কাঠমান্ডুর উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করে। তারা তিন দিন কাঠমান্ডুতে অবস্থান করে অভিযানের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি শেষ করেন। এরপর ২৪ মে ফার্চামো পর্বতের উদ্দেশে রওনা হন। এভারেস্টজয়ী এম এ মুহিতের নেতৃত্বে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে দলে শায়লাসহ অন্য দুই অভিযাত্রী ছিলেন কাজী বিপ্লব ও রিয়াসাদ সানভী।

প্রসঙ্গত, উচ্চতা, পৌঁছানোর দুর্গম পথ বিবেচনায় মাকালু বরুণ অঞ্চলের শেরপেনি কোলকে সবচেয়ে কঠিন পাস বিবেচনা করা হয়। এরপরেই বিবেচনা করা হয় তাশি লাপচাকে।