ঢাকা, মঙ্গলবার   ২১ মে ২০২৪,   জ্যৈষ্ঠ ৬ ১৪৩১

রিফাত হত্যার বিচার চাইলেন মুশফিক-রুবেল

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৩০ পিএম, ২৭ জুন ২০১৯ বৃহস্পতিবার

বরগুনায় স্ত্রীর সামনে স্বামী রিফাত শরীফকে হত্যার ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় উঠে।

এমনকি প্রধানমস্ত্রী পর্যন্ত এ হত্যার ঘটনা  গড়িয়েছে। বিচারের দাবি উঠেছে দেশের সর্বোমহল থেকে। এবার রিফাত হত্যার বিচার চাইলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম ও পেস বোলার রুবেল হোসেন তাদের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে এ বিচার দাবি করেন।

মুশফিকুর রহিম লেখেন, ‘আমি মুশফিকুর রহিম, এবং আমি রিফাত হত্যার ন্যায়বিচার চাই’। অনরুপ স্ট্যাটাস দেন বোলার রুবেল হোসেনও। তিনি লিখেন, ‘আমি রুবেল হোসেন আমি রিফাত হত্যার ন্যায়বিচার চাই’।

উল্লেখ, বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির সামনে একদল সন্ত্রাসী স্বামী রিফাতকে কুপিয়ে হত্যা করে।

এ ঘটনা প্রত্যক্ষদর্শী একজন ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিলে দ্রুত তা ভাইরাল হয়ে পড়ে। দেশব্যাপী নিন্দা ও সমালোচনার ঝড় উঠে।

নিহত রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি বলেন, ঘটনার দিন জেলার ক্যালিক্স কিন্ডারগার্ডেনের সামনে পৌঁছলে কয়েকজন সন্ত্রাসী আমাদের গতিরোধ করে রিফাতেকে মারধর করে। কিছুক্ষণ পর নয়ন বন্ড ও রিফাত ফরাজি হাজির হয়ে রিফাতকে চাপাতি দিয়ে এলোপাতারি কোপাতে থাকে।

তিনি বলেন, আমি অনেক চেষ্টা করেও সন্ত্রাসীদের নিবৃত্ত করতে পারিনি। এ হত্যার ঘটনায় তিনি বিচার দাবি করেন।

রিফাতের সঙ্গে দুই মাস আগে বিয়ে হয় তার। তবে এর আগে থেকেই এলাকার বখাটে সাব্বির হোসেন নয়ন ওরফে নয়ন বন্ড তাকে উত্ত্যক্ত করতো বলে জানান মিন্নি।

বলেন, ‘বিয়ের আগে থেকেই নয়ন আমাকে বিরক্ত করতো। তার সঙ্গে ফোনে কথা বলতে হবে, কথা না বললে মেরে ফেলবে, রাস্তাঘাটে আমার রিকশায় জোর করে উঠবে, এসব কথা কাউকে বললে মেরে ফেলবে বলে বিভিন্ন সময় হুমকি দিয়ে আসছিল। এরপর বিষয়টি পরিবারকে জানালে রিফাতের সঙ্গে আমার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়।

তবে বিয়ের আগ থেকেই রিফাতের সঙ্গে তার ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল বলেও জানান রিফাতের স্ত্রী।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিয়ের পরও নয়ন বন্ড আমাকে বিরক্ত করে আসছিল। বিষয়টি আমি আমার স্বামীকেও জানিয়েছিলাম। বুধবার সকালে আমি কলেজে যাই। রিফাত আমাকে কলেজ থেকে আনতে গিয়েছিল। আমরা কলেজ থেকে বের হই। কলেজের গেটে ওঁৎ পেতে থাকা কিছু সন্ত্রাসী এ সময় রিফাতকে কলেজ গেট থেকে টেনে নিয়ে নয়ন বন্ড ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের কাছে নিয়ে যায়।

তারা রিফাতকে আক্রমণ করে। মারার চেষ্টা করে। আমি অনেক চেষ্টা করেও ফেরাতে পারিনি। রাম দা নিয়ে আক্রমণ করে। আমি অনেক চেষ্টা করছি, অস্ত্র ধরছি, তাদের ধরছি, চিৎকার করছি। কেউ এগিয়ে আসে নাই। কেউ আমারে একটু হেল্প করে নাই। আমি একলা হাসপাতালে নিয়া গেছি।’

তিনি দাবি করেন, রিফাতকে যখন দুই তিনজন রাম দা দিয়ে কোপাচ্ছিল, তখন আশপাশে এদের সহকারীরা দাঁড়িয়ে ছিল। ওই ছেলেগুলোই প্রথমে রিফাতকে মারধর করেছিল বলে জানান মিন্নি।

এদিকে, রিফাত হত্যার মূল হোতাকে যেভাবেই হোক আইনের আওতায় আনতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

 

আই/