ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৮ নভেম্বর ২০২৫,   অগ্রাহায়ণ ৪ ১৪৩২

গাইবান্ধায় নদীভাঙনে বিলীন হচ্ছে আবাদী জমি, বসতভিটা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

প্রকাশিত : ১০:৫৩ এএম, ৯ নভেম্বর ২০১৬ বুধবার | আপডেট: ১০:৫৩ এএম, ৯ নভেম্বর ২০১৬ বুধবার

গাইবান্ধায় তিস্তা, যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র নদের অব্যাহত ভাঙনে বিলীন হচ্ছে আবাদী জমি, বসতভিটা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ নানা স্থাপনা। ঘরবাড়ি হারিয়ে দিশেহারা অসংখ্য মানুষ। ভাঙন রোধে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার দাবি তাদের। এদিকে গোপালগঞ্জে নিয়ম না মেনে মধুমতি নদী থেকে বালু উত্তোলনের ফলে ভাঙতে শুরু করেছে নদীর পাড়। এরইমধ্যে নদীতে বিলীন হয়েছে অনেকের ঘরবাড়ি। বর্ষা মৌসুম শেষ, কিন্তু গাইবান্ধার তিস্তা, যমুনা ও ব্রহ্মপুত্রের ভাঙন থেমে নেই। সুন্দরগঞ্জের হরিপুর, কামারজানি বন্দর, ফুলছড়ির বালাসীঘাট, সাঘাটার হলদিয়াসহ ১৮টি পয়েন্টে নদী ভাঙছে। এরিমধ্যে বিলীন হয়ে গেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, করবরস্থানসহ নানা স্থাপনা। বাড়িঘর হারিয়ে অসহায় দিন যাপন করছে অসংখ্য পরিবার। ভাঙ্গন রোধে ব্যবস্থা নিতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাহী প্রকৌশলী। এদিকে গোপালগঞ্জ সদর থেকে টেকেরহাট পর্যন্ত নির্ধারিত এলাকায় নির্দিষ্ট পরিমাণ বালু উত্তোলনের কথা থাকলেও নিয়মনীতির তোয়াক্কা করছে না ম্যাক্স নামের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানটি। এভাবে যত্রতত্র বালু উত্তোলনে ভাঙতে শুরু করেছে মধুমতীর পাড়। অনিয়মতান্ত্রিকভাবে বালু উত্তোলনের ফলে নদীর পাড় ভাঙছে বলে জানালেন পাউবো কর্মকর্তা। নিয়ম ভঙ্গ করে বালু উত্তোলন করায় ইজারাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানালেন জেলা প্রশাসক। তবে আশার কথা না শুনিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার দাবি নদীপাড়ের মানুষের।