ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

পুলিশের উপর হামলার প্রস্তুতি ছিল নয়ন বন্ডের

বরগুনা প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৬:১১ পিএম, ২ জুলাই ২০১৯ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৬:১২ পিএম, ২ জুলাই ২০১৯ মঙ্গলবার

রিফাত হত্যা মামলার প্রধান আসামী সাব্বির আহম্মেদ নয়ন ওরফে নয়ন বন্ড পুলিশের সঙ্গে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়েছে। বরগুনা সদর উপজেলার পায়রা নদীর পাড়ে পুরাকাটা এলাকার মজিদ মিয়ার বাড়ির সামনে ভোর ৪টা পনের মিনিটের দিকে এ ঘটনা ঘটে। এসময় ৪ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে এবং আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ।

পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন জানিয়েছেন, রিফাত হত্যা মামলার আসামীরা পুরাকাটা এলাকায় অবস্থান করছিল এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুল্লা তাহেরের নেতৃত্বে একদল পুলিশ অভিযান চালায়। সন্ত্রাসীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অতর্কিত গুলি ছোড়ে। এসময় পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টাগুলি ছোড়ে। প্রায় আধাঘন্টাব্যাপী পুলিশের সঙ্গে বন্দুক যুদ্ধ চলে। এরপর ঘটনাস্থল থেকে নয়ন বন্ডের মরদেহ পরে থাকতে দেখে পুলিশ। নয়নের সঙ্গে থাকা অন্য সন্ত্রাসীরা এ সময় পালিয়ে যায়।

এতে উভয় পক্ষের মধ্যে ২০ রাউন্ডগুলি বিনিময় হয়। সন্ত্রাসীদের হামলায় ৪ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। এরা হলো সদর সার্কেল মো. শাহজাহান হোসেন, ডিবি এসআই মনিরুজ্জামান, এসআই হাবিবুর রহমান, কনস্টেবল মো. হাবিব আহত হয়।

ঘটনা স্থল থেকে ১টি পিস্তল, ৩টি দাও, ১টি তাজাগুলি ও ২টি গুলির খোসা উদ্ধার করেছে পুলিশ। সকাল ৭টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে এবং সেখান থেকে সদর হাসপাতাল মর্গের সামনে মরদেহ সকলের দেখার জন্য লাশ রেখে দেয় পুলিশ। শতশত মানুষ এ সময় নিহত নয়ন বন্ডকে দেখার জন্য থানায় ভিড় জমায়। দুপুর দেড়টার দিকে লাশের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়। বিকেল ৩টার দিকে নয়নের মামা মিজানুর রহমান পুলিশের কাছ থেকে লাশ গ্রহণ করেছে।

পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন বেলা ১১টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, প্রধান আসামী বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়েছে এবং অন্য আসামীরাও আইন-শৃংখলা বাহিনীর নজরদারীতে রয়েছে। আশা করি খুব অল্প সময়ের মধ্যে আরও ভালো খবর দিতে পারবো। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমূল হাসান, সদর থানার ওসি আবির মোহম্মদ হোসেন।

এদিকে দুপুর ১২টার দিকে বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু ও জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ নিহত রিফাত শরীফের বাড়ীতে এবং আয়শা সিদ্দিকা মিন্নীর বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানান। রিফাত শরীফের কবর জিয়ারত করেন।

এসময় সাংসদ শম্ভু বলেন, প্রতিটা মৃত্যুই বেদনাদায়ক কিন্তু এই নয়নের মৃত্যুতে বরগুনার মানুষ উৎসবের মতো আনন্দ পেয়েছে।

কেআই/এসি