ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

নুসরাতের শ্লীলতাহানির মামলায় পিবিআই’এর চার্জশিট

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:৪৩ পিএম, ৩ জুলাই ২০১৯ বুধবার | আপডেট: ০৬:৩৩ পিএম, ৩ জুলাই ২০১৯ বুধবার

ফেনীর সোনাগাজী মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির শ্লীলতাহানির মামলার একমাত্র আসামী ও সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ্দৌলার বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

বুধবার বিকেল ৪ টায় ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসেনের আদালতে চার্জশিট জমা দেয়া হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পিবিআই ফেনী পরিদর্শক শাহ আলম জানান, ২৭ মার্চ অধ্যক্ষ সিরাজ উদ-দৌলা নুসরাতকে তার কক্ষে ডেকে নিয়ে শ্লীলতাহানি করেন। পরে নুসরাতের মা শিরিন আক্তার সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ অধ্যক্ষকে আটক করে। পরে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়। পিবিআই ৯৬ দিনের মাথায় আজ আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করে। ২৭১ পৃষ্টার অভিযোগ পত্রে ডাক্তার ও পুলিশসহ মোট ২৯ সাক্ষী রয়েছে বলে জানায় পিবিআই।

বাদী পক্ষের আইনজীবী শাহজাহান সাজু গণমাধ্যমকে বলেন, ‘যৌন নিপিড়নের মামলায় শস্তি হচ্ছে দশ বছর। আমরা আশা করি এই মামলায় সিরাজ উদ দৌলা সর্বোচ্চ শাস্তি পাবে। এই মামলায় ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন সঠিক পদক্ষেপ নিতেন তাহলে নুসরাতকে জীবন দিতে হতো না। এই মামলা নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতে চলে যাবে। কারণ এ মামলা নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলা।’

আগামী কাল বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানি হবে এবং বিচারক পরবর্তি নির্দেশ দিবেন বলে জানান আইনজীজী শাহজাহান সাজু।

উল্লেখ্য,সোনাগাজীর ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান ওরফে রাফিকে গত ৬ এপ্রিল গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। পরে ১০ এপ্রিল চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগে মারা যান।

এ ঘটনায় নুসরাতের ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান বাদি হয়ে আটজনকে আসামি করে সোনাগাজী থানায় মামলা করেন। পরে মামলাটি পিবিআইতে স্থানান্তর করা হয়। পুলিশ ও পিবিআই এ মামলায় ২১ জনকে গ্রেপ্তার করে। এদের মধ্যে ১২ জন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।

এমএস/ টিআর/