ঢাকা, রবিবার   ২৮ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৫ ১৪৩১

‘৮০০ গানের সংকলন মাসুদ করিম’ গ্রন্থ প্রকাশ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৪:০৬ পিএম, ৫ জুলাই ২০১৯ শুক্রবার

বাংলাদেশের সঙ্গীত জগতে জনপ্রিয় একটি নাম গীতিকার মাসুদ করিম। যিনি ‘সজনী গো ভালোবেসে এত জ্বালা’, ‘শত্রু তুমি বন্ধু তুমি’, ‘তোমরা যারা আজ আমাদের ভাবছ মানুষ কিনা’, ‘কিছু বলো, কিছু বলো’, ‘তন্দ্রা হারা নয়নও আমার’, ‘যখন থামবে কোলাহল’, ‘শিল্পী আমি তোমাদের গান শোনাব’ এসব হৃদয়ছোঁয়া গানের স্রষ্টা।

তিনি চলচ্চিত্রে কালজয়ী এমন শত শত গানের জন্য বিখ্যাত হয়ে আছেন মানুষের হৃদয়ে। যেসব গানে কণ্ঠ দিয়েছেন শাহনাজ রহমতুল্লাহ, রুনা লায়লা, সাবিনা ইয়াসমিন, বশির আহমেদ, সৈয়দ আবদুল হাদী, মাহমুদুন্নবী, মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, খোন্দকার ফারুক আহমেদ, কাজী আনোয়ার হোসেন, কাদেরী কিবরিয়া, প্রবাল চৌধুরী, নার্গিস পারভিনসহ প্রখ্যাত শিল্পীরা। এছাড়াও ভারতীয় শিল্পী শ্যামল মিত্র, ভূপেন হাজারিকা, উদিত নারায়ণ, কুমার শানু, অনুরাধা, ঊষা উথুপরাও তার গানে কণ্ঠ দিয়েছেন।

শুধু চলচ্চিত্রের গানই নয়, মাসুদ করিমের লেখায় সমৃদ্ধ হয়েছে আধুনিক, দেশাত্মবোধক, পল্লীগীতি-সহ বাংলা গানের বিভিন্ন শাখা। আর তার এই সহস্রাধিক গানের মধ্য থেকে ৮০০ গান নিয়ে তৈরি হলো একটি সংকলন গ্রন্থ। যার নাম ‘৮০০ গানের সংকলন মাসুদ করিম’।

এটি সম্পাদনা করেছেন তারই সহধর্মিণী কণ্ঠশিল্পী দিলারা আলো। প্রকাশ করেছে অনন্যা প্রকাশনী। এই প্রজন্মের সঙ্গে মাসুদ করীমকে পরিচয় করিয়ে দিতেই এই সংকলন প্রকাশ করেছেন তার স্ত্রী।

এ উপলক্ষে গত বৃহস্পতিবার একটি প্রকাশনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চ্যানেল আই-এর পরিচালক ও বার্তাপ্রধান শাইখ সিরাজ, গীতিকার ও সুরকার শেখ সাদী খান, ফোয়াদ নাসের বাবু, সৈয়দ আবদুল হাদী, মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, দিলারা আলো, নাট্যব্যক্তিত্ব কেরামত মাওলাসহ বিভিন্ন অঙ্গনের বিশিষ্টজনরা।

প্রখ্যাত গীতিকার মাসুদ করিমের জন্ম কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে। কুমারখালীর খ্যাতিমান পূর্বসূরিদের নামের সঙ্গে মাসুদ করিমের নামও যুক্ত। ছোটবেলা থেকে মাসুদ করিম ঢাকাতেই বড় হন এবং কবি ও গীতিকার রূপে প্রতিষ্ঠিত হন।

স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভের পরে মাসুদ করিম ঢাকা ও চট্টগ্রাম বেতারে প্রোগ্রাম অফিসার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৬০ সাল থেকে তিনি বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনের জন্য গীত রচনা শুরু করেন। তবে ষাট, সত্তর ও আশির দশকে চলচ্চিত্রের গান রচনা করে তিনি খ্যাতি লাভ করেন।

মাসুদ করিম খুব অল্প সময়েই বেতার ও টেলিভিশনে গীতিকার হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন। তিনি চলচ্চিত্রের গানে অবদানের জন্য দু’বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। দুরারোগ্য ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে ১৯৯৬ সালের ১৬ নভেম্বর কানাডার মন্ট্রিয়ালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

এনএম