ঢাকা, রবিবার   ১৯ মে ২০২৪,   জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টাইগারদের লক্ষ্য ৩১৬

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৭:৫১ পিএম, ৫ জুলাই ২০১৯ শুক্রবার | আপডেট: ০৯:০১ পিএম, ৫ জুলাই ২০১৯ শুক্রবার

প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ইমাম উল হকের ১০০ ও বাবর আজমের ৯৬ রানের ইনিংসে ভর করে পাকিস্তানের সংগ্রহ ৯ উইকেটে ৩১৫ রান।  বাংলাদেশের পক্ষে মুস্তাফিজুর রহমান দ্বিতীয় পাঁচ উইকেটের দেখা পেয়েছেন। মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন তুলে নিয়েছেন তিনটি উইকেট। জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ৩১৬ রান।

দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে জয় দিয়েই বিশ্বকাপ মিশন শুরু হয় টাইগারদের। টুর্নামেন্টে অসাধারণ ব্যাটিং করে সেমির স্বপ্ন দেখিয়ে ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সবশেষ ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে হেরে যাওয়ায় সেই স্বপ্ন ভেঙে যায়।

আজ গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে পাকিস্তানকে হারাতে পারলে বিশ্বকাপের সেরা দশ দলের মধ্যে পঞ্চমস্থানে থাকতে পারবে বাংলাদেশ। এছাড়া বিশ্বকাপের এক আসরে অতীতে তিনটি জয়ের রেকর্ড ছাড়িয়ে নতুন ইতিহাস গড়বে মাশরাফি বিন মুর্তজার নেতৃত্বাধীন দলটি।

শেষ দিকে ২৬ বলে ৪৩ রান করেন ইমাদ ওয়াসিম। এছাড়া ২৭ রান করেন মোহাম্মদ হাফিজ। বাংলাদেশ দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫ উইকেট শিকার করেন মোস্তাফিজুর রহমান। তিন উইকেট শিকার করেন সাইফউদ্দিন। শুক্রবার ইংল্যান্ডের লর্ডসে বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ-পাকিস্তান। এদিন টাইগারদের বিপক্ষে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন বাবর আজম। অনবদ্য ব্যাটিং করে সেঞ্চুরির পথেই ছিলেন তিনি। তার সেঞ্চুরির স্বপ্ন ভেঙে দেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। তার গতির বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন বাবর। তার আগে ৯৮ বলে ১১টি চারের সাহায্যে ৯৬ রান করেন তিনি।

এর আগে আজ শুক্রবার ইংল্যান্ডের লর্ডসে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তান অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ। শুরুটা খুব একটা ভালো হয়নি। দলীয় ২৩ রানের মাথায় ফখর জামানকে হারায় পাকিস্তান। ব্যক্তিগত ১৩ রানে মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের বলে মেহেদী হাসান মিরাজের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। পরে বাবর আজম ও ইমাম উল হক ১৫৭ রানের জুটি গড়ে দলকে নিয়ে যান সুবিধাজনক অবস্থানে। ব্যক্তিগত ৯৬ রানে মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের দ্বিতীয় শিকার হওয়ার আগে দুইবার জীবন পান বাবর আজম। দলীয় ২৪৬ রানের মাথায় পাকিস্তানের তৃতীয় উইকেটের পতন হয়। মুস্তাফিজুর রহমানের বলে হিট উইকেট হয়ে সাজঘরে ফেরেন ১০০ রানের ইনিংস খেলা উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ইমাম উল হক। দলীয় স্কোর ২৫৫ রানে যেতেই পাকিস্তান হারায় আরো দুই ব্যাটসম্যান। পরপর আউট হন মোহাম্মদ হাফিজ ও হারিছ সোহেল। পুরো ইনিংসে এখানেই কিছুটা চাপে পড়ে পাকিস্তান।

প্রায় অসম্ভব এক সমীকরণে নিউজিল্যান্ডকে পেছনে ফেলার সুযোগ পাকিস্তানের সামনে থাকলেও কোনো আশা নেই বাংলাদেশের। এই ম্যাচটি মূলত পয়েন্ট টেবিলের পঞ্চমস্থানে থাকার লড়াই।

প্রথমে বাংলাদেশের বিপক্ষে ব্যাট করতে নেমে যেভাবে রানের পাহাড় গড়ছিল পাকিস্তান সেই গতি অনেকটা থেমে যায়। এরপর ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। বাংলাদেশের বোলাররা শুরুটা বেশ ভালোই করেছিল। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে তাই ভীষণ চাপে পড়ে গিয়েছিল পাকিস্তান। এরপর আবার তাদের ব্যাট জ্বলে উঠে। তবে তাদের রানের এ লাগাম টেনে ধরে টাইগাররা।

বাংলাদেশ: তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, লিটন দাস, মোসাদ্দেক হোসেন, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মেহেদী হাসান মিরাজ, মাশরাফি বিন মুর্তজা (অধিনায়ক) ও মোস্তাফিজুর রহমান।

পাকিস্তান: ইমাম-উল হক, ফখর জামান, বাবর আজম, মোহাম্মদ হাফিজ, হারিস সোহেল, সরফরাজ আহমেদ (অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক),ইমাদ ওয়াসিম, শাদাব খান, ওয়াহাব রিয়াজ, মোহাম্মদ আমির ও শাহীন শাহ আফ্রিদি।

এমএস/এসি