ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

সুখী দাম্পত্য জীবনের জন্য যা করণীয়

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৪:৪৩ পিএম, ৬ জুলাই ২০১৯ শনিবার | আপডেট: ০৫:১০ পিএম, ৬ জুলাই ২০১৯ শনিবার

দুটি মানুষ মিলে একটি পথে চলার নামই বিয়ে। আর এই পথ চলা তখনই সুমধুর হয় যখন বিশ্বাস আবেগ-অনুভূতি দিয়ে একে অপরের উপর নির্ভরশীল হয়। সুখে-শান্তিতে থাকার জন্য মানুষ বিবাহিত জীবন বেছে নেয়। এই বৈবাহিক জীবনটা সুখের করতে চায় সবাই। অনেকের ক্ষেত্রেই যেটা হয়ে থাকে সেটা হচ্ছে তারা শুধু সুখের পানে চেয়েই থাকেন। কিন্তু বৈবাহিক জীবনে সুখ চাওয়ার জন্য কিছু করণীয় আছে সেটা তারা কখনও মনে করেন না।

তবে এই করণীয়গুলো কি কি তা জেনে নিন:

* প্রতিটি মানুষই আলাদা। কিন্তু চেতনা ও জীবনদৃষ্টির সঙ্গে মিল রয়েছে- এমন কাউকে জীবনসঙ্গী হিসেবে গ্রহণ করুন।

* প্রেমে কোন দায়-দায়িত্ব নেই। কিন্তু বিয়ে হচ্ছে দেওয়ার ও নেওয়ার। বিয়েতে দায়িত্ব-কর্তব্য দুটোই রয়েছে।

* বিয়ে হোক প্রতিদিন একই ব্যক্তির সঙ্গে। অর্থাৎ স্বামী-স্ত্রী একে অপরে নিত্য নতুন প্রেমে পড়ুন।

* জীবনসঙ্গী/সঙ্গিনীকে বিয়ের প্রথম দিন থেকেই দিনে অন্তত একবার বলুন, ‘আমি তোমাকে ভালবাসি।’ এতে  দু’জনের ক্ষেত্রে নির্ভরতা বাড়বে।

* সম্পর্কের উন্নয়ন নির্ভর করে কথা বলা ও যোগাযোগের উপর। খেয়াল রাখুন কখন কাকে কোন অবস্থায় কী বলছেন। যত সুন্দরভাবে, শ্রদ্ধার সঙ্গে বলবেন ততো আপনার কথার প্রভাব বাড়তে থাকবে।

* পারস্পরিক ইতিবাচক ও ভালো ধারণাগুলোকে সব সময় লালন করুন। বাস্তবেও সম্পর্ক হবে ইতিবাচক।

* জৈবিক, বংশধারা, হৃদয়িক এবং আত্মিক-আধ্যাত্মিক এ চারটি খুঁটি পারিবারিক ভারসাম্য রক্ষা করে।

* স্বামী-স্ত্রীর ব্যাপারে অহেতুক খুঁতখুঁতে হবেন না। কঠোর ভাষায় কখনও তার ভুল ধরিয়ে দেবেন না। ভুলগুলোকে সময় সুযোগমতো সুন্দরভাবে বুঝিয়ে দিন।

* একজন পুরুষ ও একজন নারী কিংবা দু’জন পুরুষ বা দুজন নারীও চিন্তায় কখনও এক হয় না। তাই পার্থক্যগুলো বাদ দিয়ে সাধ্যমতো মতৈক্যের সৃষ্টি করুন।

* বিশ্বাস বিশ্বস্ততা ভালবাসা ও সহমর্মিতা বিবাহিত জীবনে নিয়ে আসে স্বর্গীয় আনন্দ।

* বিপরীত লিঙ্গের প্রতি মাত্রাতিরিক্ত আকর্ষণকে নিয়ন্ত্রণ করুন। একটি ছেলে ও একটি মেয়ের মধ্যে শোভন আচরণের সীমাকে বজায় রাখুন।

* আপনার স্বামী/স্ত্রীর চেয়ে নিজেকে ডিগ্রি, সামাজিক মর্যাদা, বিত্তবৈভবে শ্রেষ্ঠ মনে করবেন না। বিবাহিত জীবনে একজন আরেকজনের  অংশীদার। আপনার সাফল্যে স্বামী/স্ত্রীর যে কোন ভূমিকা অকপটে স্বীকার করুন।

* বর্তমানকে নিয়ে বাঁচুন। অতীতে আপনার কি কষ্ট ছিল বা কি পান নি তা নিয়ে আফসোস না করে বর্তমানকে আনন্দময় করে তুলুন। ভবিষ্যৎ সম্পর্কে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করুন।

* রূপের প্রশংসা সাময়িক। গুণের কদর চিরন্তন। তাই গুণকে বিকশিত করুন। পরিবারে ও পরিবারের বাইরে আপনার মর্যাদা বেড়ে যাবে।

* কোন প্রতিদানের আশা ছাড়াই স্ত্রী/স্বামীর কাছে নিজেকে উজাড় করে দিন। বিনিময়ে আশাতীত প্রতিদান পাবেন। নিঃশর্ত সম্পর্ক যে ভালবাসার সৃষ্টি করে তা ধমক, চাবুক, তলোয়ার বা কোন চুক্তিনামা দিয়ে অর্জন করা যায় না। (তথ্যসূত্র : কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন)

এএইচ/কেআই