ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

ধর্ষণের পর হত্যা করা হয় সায়মাকে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:২৩ পিএম, ৬ জুলাই ২০১৯ শনিবার | আপডেট: ০৫:২৫ পিএম, ৬ জুলাই ২০১৯ শনিবার

রাজধানীর ওয়ারী বনগ্রামে সাত বছরের শিশু সামিয়া আফরিন সায়মাকে (৭) ধর্ষণের আলামত মিলেছে। ধর্ষণের পর গলায় রশি পেঁচিয়ে তাকে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান সোহেল মাহমুদ। শনিবার দুপুরে সায়মার লাশের ময়নাতদন্ত করা হলে এ তথ্য বেরিয়ে আসে।

সোহেল মাহমুদ বলেন, সায়মার শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এর আগে শনিবার সকালে অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের নামে মামলা দায়ের করেন সায়মার বাবা আব্দুস সালাম। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাড়ির নিরাপত্তা প্রহরীসহ ছয়জনকে আটক করেছে পুলিশ।

ওয়ারী জোনের সহকারী কমিশনার মোহাম্মাদ সামসুজ্জামান জানান, আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনার মূল রহস্য উদ্ঘাটনে তদন্ত চলছে।

গতকাল শুক্রবার রাত পৌনে ৮টার দিকে ওয়ারীর বনগ্রাম মসজিদ এলাকার নির্মাণাধীন একটি ভবন থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়।

নিহত সায়মা সিলভারডেল স্কুলে নার্সারিতে পড়তো। তার বাবা আব্দুস সালাম নবাবপুরে ব্যবসা করেন। ওয়ারী থানার ১৩৯ বনগ্রামের বাড়ির ৬ তলায় নিজের ফ্ল্যাটে পরিবার নিয়ে থাকেন তিনি।

আব্দুস সালাম বলেন, শুক্রবার ‘মাগরিবের আজানের সময় আমি নামাজ পড়তে মসজিদে যাই। ফেরার সময় সন্ধ্যার নাশতা কিনে বাসায় আসি। এসে দেখি বাসায় সায়মা নেই।

আমি ও আমার স্ত্রীসহ সায়মাকে খুঁজতে শুরু করি। ছয়তলা ও আট তলায় খুঁজে তাকে পাওয়া যায়নি। পরে আবার আট তলায় খুঁজতে গিয়ে রান্নাঘরে তার লাশ পাওয়া যায়।’

আই/কেআই