ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৭ ১৪৩১

আ’লীগের সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু ২১ জুলাই

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০১:০৯ পিএম, ৭ জুলাই ২০১৯ রবিবার

ফের সদস্য পদ নবায়ন ও সদস্য সংগ্রহ শুরু করছে দেশের স্বাধীনতায় নেতৃত্ব দেওয়া রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। আগামী ২১ জুলাই থেকে শুরু হয়ে দলটির ২১তম জাতীয় সম্মেলন পর্যন্ত চালানো হবে এ কার্যক্রম। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকারে আসার পর এবার নিজ ঘর গুছানোয় বেশ মনোযোগ দিয়েছে আওয়ামী লীগ। ইতোমধ্যে এ কার্যক্রমের বিষয়ে তৃণমূলকেও নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্র। 

প্রায় দুই কোটি নতুন সদস্যের টার্গেট নিয়ে সদস্য সংগ্রহের এ অভিযান চালানো হবে। ‘তারুণ্যের শক্তি- বাংলাদেশের সমৃদ্ধি’ নীতির আলোকে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শভিত্তিক আগামী প্রজন্ম গঠন, সুখি ও সমৃদ্ধশীল বাংলাদেশ বিনির্মাণের হাতিয়ার হিসেবে তরুণ সমাজকে উন্নয়নমুখী ও কল্যাণকর রাজনীতিতে সম্পৃক্ত করার মধ্য দিয়ে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে রাজনৈতিক সচেতনতা বৃদ্ধি ও তরুণ দেশকর্মী গড়ে তুলতে সাংগঠনিক এই কর্মসূচি গ্রহণ করা হচ্ছে বলে দলটি জ্যেষ্ঠ নেতারা জানান। দলের গঠনতন্ত্র মেনে সদস্য সংগ্রহের অভিযান চালানো হবে। আওয়ামী লীগের আদর্শ ও নীতিতে বিশ্বাস করে- এমন তরুণ ও মেধাবীদের দলে জায়গা দেয়া হবে। প্রাধান্য দেয়া হবে বিগত নির্বাচনে যারা দলের পক্ষে ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছেন তাদের।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, সাম্প্রদায়িক, স্বাধীনতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধী পরিবারের কেউ আওয়ামী লীগের সদস্য হতে পারবে না। জাতীয় নির্বাচন ও স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে অনেকে আওয়ামী লীগের মিছিলে এসেছেন। নৌকার সমর্থন করেছেন এবং নৌকার প্রার্থীদের ভোট দিয়েছেন। যদি তাদের বিষয়ে আদর্শিক কোন দ্বন্দ্ব না থাকে তাহলে তাদেরকে সদস্য করে নেওয়া হতে পারে।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, তরুণ ভোটার এবং নারী ভোটারদেরকে সদস্য করার উপর বিশেষ জোর দিচ্ছে ক্ষমতাসীন এ দলটি। ১/১১ সরকারের সময়ে দলের সভানেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কারবন্দি করে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার। সে সময় তাঁর মুক্তির দাবিতে ২৫ লক্ষ গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করা হয়। বিষয়টিকে স্মরণীয় করে রাখতে শুধুমাত্র রাজধানী ঢাকাতেই ২৫ লক্ষ সদস্য নেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে।

২০০৮ সালে ৯ম জাতীয় সংসদের নির্বাচনে সরকার গঠন করার পর ২০১০ সালে ৩০ জানুয়ারি সদস্য সংগ্রহ ও নবায়নের কাজ শুরু করে আওয়ামী। দীর্ঘ সাত বছর বিরতি দিয়ে ২০১৭ সালের ২০ মে গণভবনে অনুষ্ঠিত বিশেষ বর্ধিত সভায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংগঠনের সদস্য পদ সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রম উদ্বোধন করার পর থেকে সারাদেশে আওয়ামী লীগের সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রম শুরু হয়।

দলের গঠনতন্ত্রের ৫ এর (১) ধারায় বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বিশ্বাস করে নির্ধারিত ফরমে প্রদত্ত ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করে ত্রিবার্ষিক ২০ টাকা চাঁদা প্রদান করে ১৮ বছরের বেশি বয়সী বাংলাদেশি নারী-পুরুষ সদস্য হতে পারবে। তবে উপধারায় কারা সদস্য হতে পারবেন, তা-ও উল্লেখ করা হয়েছে। এতে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ববিরোধী, নাগরিকত্ব পরিত্যাগকারী বা বাতিলকৃত ব্যক্তি নয়; অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য নয়; ধর্ম, বর্ণ, শ্রেণি বা পেশায় বৈষম্যে বিশ্বাস করে না; আওয়ামী লীগের নীতি ও আদর্শের পরিপন্থী কোনো সংগঠনের সদস্য নয়- তারা সদস্য হতে পারবেন। এই ধারায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির নির্দেশ পালনে বাধ্য থাকা ও নিয়মিত চাঁদা পরিশোধের কথা বলা হয়েছে।

এমএস/