ঢাকা, সোমবার   ২৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৫ ১৪৩১

দু’বছর নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছেন মেসি!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:৩৮ পিএম, ৮ জুলাই ২০১৯ সোমবার | আপডেট: ০৫:৪২ পিএম, ৮ জুলাই ২০১৯ সোমবার

কোপা আমেরিকার আগের দুই আসরে তীরে এসে তরী ডুবেছিল ফুটবলের দেশ আর্জেন্টিনার। কারণ, দুইবারই যে ফাইনালে গিয়েও শিরোপা বঞ্চিত হয়েছে মেসির দল। এক চিলির কাছেই টাইব্রেকারে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে আলবিসেলেস্তদের।

আর এবার সদ্য সমাপ্ত আসরও হতাশা উপহার দিয়েছে আর্জেন্টাইনদের। এবার তো ফাইনালেই উঠতে পারেননি মেসি-মারিয়া-আগুয়েরোরা। যদিও সেই চিলিকে হারিয়েই টুর্নামেন্টের তৃতীয় সেরা দল হয়েছে আকাশি-সাদা জার্সিধারীরা।

তবে এসবকিছু ছাপিয়ে আলোচনার গরম টেবিলে এখন বিশ্বসেরা ফুটবলার লিওনেল মেসি। কারণ, বেফাঁস মন্তব্য করায় এখন নিষেধাজ্ঞার খাঁড়ায় তিনি। তাও আবার দুই-এক দিন বা দুই-এক ম্যাচ নয়। দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে কনমেবল।

চিলি যেন মেসিদের জন্য এক অপয়া নাম। আগের দুবার ফাইনালে হারলেও তৃতীয়স্থান নির্ধারণী ম্যাচেও প্রতিপক্ষ সেই চিলি। যে ম্যাচে লাল কার্ড দেখতে হয়েছে মেসিকে। যা সত্যিই অন্যায্য ছিল তার জন্য।

তার আগে ব্রাজিলের সঙ্গে সেমিফাইনাল ম্যাচে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত গেছে মেসিদের বিরুদ্ধে। যার দাবীদার ছিলেন মেসিরাই। সবমিলিয়ে ক্ষোভ আর হতাশায় দক্ষিণ আমেরিকা ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা `কনমেবল`কে ধুয়ে দিয়েছেন আর্জেন্টিনা অধিনায়ক।

শনিবার থ্রিলার ম্যাচে চিলিকে হারানোর পরই বোমাটা ফাটিয়েছেন মেসি। আর্জেন্টিনা অধিনায়কের দাবি, ব্রাজিলকে চ্যাম্পিয়ন করার জন্যই টুর্নামেন্টে দুর্নীতি করা হয়েছে। রেফারির পক্ষপাতমূলক আচরণেরও অভিযোগ তুলেছেন মেসি। দুর্নীতির প্রতিবাদ জানিয়ে কোপা আমেরিকার পদক পর্যন্ত নেননি তিনি। মেসির গুরুতর এসব অভিযোগ ভালোভাবে নেয়নি `কনমেবল`। তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে তারা।

বিস্ফোরক কথাবার্তার কারণে নাকি কঠিন শাস্তি পেতে যাচ্ছেন মেসি। রোববার স্প্যানিশ ক্রীড়া দৈনিক এএস এমনই উৎকণ্ঠার খবর দিয়েছে। এক প্রতিবেদনে এএস জানিয়েছে, দুই বছর নিষিদ্ধ হতে পারেন আর্জেন্টিনা অধিনায়ক।

শেষ পর্যন্ত মেসি কেমন শাস্তি পান সেটা দেখার জন্য অপেক্ষায় থাকতেই হচ্ছে। আপাতত মেসির অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে `কনমেবল`।

রোববার এক বিবৃতিতে দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবল সংস্থা জানিয়েছে, `কেউ অভিযোগ করলে অবশ্যই টুর্নামেন্টের প্রতি সম্মান এবং শ্রদ্ধা রেখে করতে পারে। এখানে শত শত পেশাদার লোক কাজ করছেন। ২০১৬ সাল থেকে সবাই দুর্নীতি দূর করতে, পেশাদারিত্ব স্থাপন করতে, সর্বোপরি দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবলের উন্নয়নের জন্য কাজ করছে।`

মেসির অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে কনমেবল বিবৃতিতে আরো বলেছে, `কোপা আমেরিকার বিরুদ্ধে অস্বচ্ছতার প্রশ্ন তোলা মানে টুর্নামেন্টের প্রতি অসম্মান জানানো। টুর্নামেন্টে ঘটে যাওয়া কিছু বিষয় আপনার কাছে গ্রহণযোগ্য নাও হতে পারে। কিন্তু এই আসরে অংশ নেয়া ১২টি দেশকেই সমান গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।`

এসি