ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

ভিক্ষুকমুক্ত বাগেরহাটে বাড়ছে ভিক্ষুকদের আনাগোনা (ভিডিও)

বাগেরহাট প্রতিনিধি, এইচএম মঈনুল ইসলাম

প্রকাশিত : ০৬:২৯ পিএম, ৮ জুলাই ২০১৯ সোমবার | আপডেট: ০৫:০৮ পিএম, ১৫ জুলাই ২০১৯ সোমবার

২০১৭ সালে বাগেরহাট জেলাকে ভিক্ষুকমুক্ত ঘোষনা করা হলেও এখনও ভিক্ষুকদের আনাগোনা বাড়ছে জেলার বিভিন্ন জায়গায়। সরকার ভিক্ষুকদের পূনর্বাসন ও আর্থিক সহায়তা দেওয়ার পরেও ভিক্ষাবৃত্তি বন্ধ হয়নি। তবে ভিক্ষুকরা বলছেন, যে সহায়তা দেওয়া হয়েছে তাতে তাদের সংসার চলছে না। উপায়ন্তর না পেয়েই বেঁচে থাকার তাগিদেই ভিক্ষা বৃত্তি করছেন তারা।

এদিকে জেলা প্রশাসন বলছেন, ভিক্ষুকমুক্ত করা একটি চলমান প্রক্রিয়া, খুব শীঘ্রই ভিক্ষুকদের সহায়তা দেওয়ার একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হবে।

বাগেরহাটের বিভিন্ন এলাকায় নারী পুরুষ ভিক্ষুকদের আনাগোনা বেড়েই চলছে। বিশেষ করে পৌরসভার বিভিন্ন সড়ক, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, মাজার, ব্যাংক, স্কুল, কলেজ, বাজারসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সামনে এখনও ভিক্ষাবৃত্তি করছেন অনেকে।

২০১৭ সালে জেলার ৩১৯৮ জন ভিক্ষুকের তথ্য সংগ্রহ করে জেলা প্রশাসন। পরবর্তীতে যাচাই-বাছাই শেষে চুড়ান্তভাবে ২০২৬ জন প্রকৃত ভিক্ষুককে ভিজিডি, ভিজিএফ, প্রতিবন্ধী ভাতা, কর্মসৃজন কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত, গবাদি পশু, চাকুরি প্রদান, নগদ অর্থসহায়তাসহ বিভিন্ন ধরণের সহযোগিতা করে জেলা প্রশাসন। এরপরও ভিক্ষা বৃত্তির অভ্যাস থেকে না ফেরায় জনমনে রয়েছে নানা প্রশ্ন। তবে ভিক্ষুকরা বলছেন, সামান্য সহায়তায় তাদের সংসার চলছে না। তাই বাধ্য হয়ে ভিক্ষা বৃত্তি করছেন তারা।

ভিক্ষুকরা বলেন, স্বামী পরিত্যক্তা ও দূর্ঘটনায় পঙ্গুত্ব বরণ করায় আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে বাধ্য হয়ে বিভিন্ন দপ্তর ও বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভিক্ষা বৃত্তি করতে বাধ্য হচ্ছে।

তাদের একজন বলেন, কি করবো বাবা, আমারতো কামাই করার কেউ নেই। ছেলেটা মারা গেছে, তিনটা বাচ্চা রেখে। জায়গা জমি নেই শুধু তিন কাঠা বাড়ি, কি করবো, ভিক্ষা করি। আমার তিন পুরুষে কেউ খয়রাত করেনি, এখন বাধ্য হয়ে আমি খয়রাত করছি।

মোঃ জহিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বলেন, খুলনা বিভাগের বাগেরহাট জেলাকে ভিক্ষুক মুক্ত ঘোষনা করা হয়েছে। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। নতুন যারা ভিক্ষা বৃত্তির সাথে যুক্ত হয়েছে তাদেরকেও পুনর্বাসনের জন্য অচিরেই উদ্যোগ গ্রহন সকরা হবে।

এসি