ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

‘উপজেলা থেকে প্রতি বছরে ১ হাজার কর্মী বিদেশ পাঠানো হবে’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৪৭ পিএম, ৮ জুলাই ২০১৯ সোমবার | আপডেট: ০৮:২২ এএম, ৯ জুলাই ২০১৯ মঙ্গলবার

দেশের প্রত্যেক উপজেলা থেকে প্রতিবছর গড়ে এক হাজার কর্মী বিদেশে পাঠানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী ইমরান আহমদ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী প্রথমবারের মতো এ পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।

সোমবার (৮ জুলাই) জাতীয় সংসদ অধিবেশনের প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এতথ্য জানান। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে এ সংক্রান্ত প্রশ্নটি উত্থাপন করেন সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য বেগম হাবিবা রহমান খান।

জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, বর্তমান সরকারের বিগত দুই মেয়াদে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ৫৯ লাখ ৩৩ হাজার ৯৫ কর্মীর বিদেশে কর্মসংস্থান হয়েছে। আর এখন থেকে প্রতিবছর গড়ে এক হাজার কর্মী বিদেশে পাঠানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

গণফোরামের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খানের এক প্রশ্নের জবাবে ইমরান আহমদ বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের শ্রমবাজার সংকুচিত হয়ে পড়ছে কথাটি সঠিক নয়। বরং বর্তমান সরকারের কূটনৈতিক তৎপরতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শ্রমবাজার উন্মুক্ত হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে এ পর্যন্ত ১৭৩টি দেশে কর্মী পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরও জানান, ২০১৪ সালে বিদেশে কর্মী পাঠানো হয়েছিল ৪ লাখ ২৫ হাজার ৬৮৪জন। ২০১৭ সালে তা বৃদ্ধি পেয়ে ১০ লাখ ৮ হাজার ৫২৫ জনে উন্নীত হয়েছে। এরমধ্যে গত বছরে বিদেশগামী কর্মীর সংখ্যা ছিল ৭ লাখ ৩৪ হাজার ১৮১জন।

আওয়ামী লীগের সদস্য শেখ এ্যানী রহমানের প্রশ্নের জবাবে ইমরান আহমদ বলেন, বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সাড়ে ৮ লাখের বেশি নারী কর্মী কর্মরত আছে। সেখানে বাংলাদেশী নারীরা সুনামের সঙ্গে কাজ করছে। এসব নারীদের সুরক্ষায় নানামুখী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

একই দলের আনোয়ারুল আজীমের এক প্রশ্নের জবাবে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী জানান, বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যেসব বাংলাদেশী প্রতারণার শিকার হয়ে জেলে আটক আছেন তাদের দেশে ফেরত আনার জন্য সরকার নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে। যার মধ্যে প্রবাসে কর্মরতদের আইনগত সহায়তার জন্য বিভিন্ন দেশে ৩০টি শ্রম উইং প্রতিষ্ঠা করেছে। প্রতারিত হয়ে জেলে আটক ব্যক্তিদের মুক্তির জন্য শ্রম কল্যাণ উইংয়ের মাধ্যমে আইনগত সহায়তা প্রদান করে দেশে ফেরত আনা হয়।

আরকে//