কর্মক্ষেত্রে মেলে ধরতে পারছেন না তরুণরা (ভিডিও)
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৩:৩২ পিএম, ১০ জুলাই ২০১৯ বুধবার | আপডেট: ০১:৩৫ পিএম, ১৫ জুলাই ২০১৯ সোমবার

প্রথম প্রজন্মের জনসংখ্যার লভ্যাংশ ঘরে তোলার সময় হলেও বাংলাদেশের প্রস্তুতি এখনো যথাযথ নয়। দেশের মোট জনসংখ্যায় কর্মক্ষম তরুণ জনগোষ্ঠীর সংখ্যা সবচে বেশি। কিন্তু কর্মক্ষেত্রে নিজেদের ঠিকমতো মেলে ধরতে পারছে না তারা। জনসংখ্যা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একাডেমিক পড়াশোনার সাথে বাস্তবতার বিশাল ফারাকই এর অন্যতম কারণ।
জনসংখ্যা নিয়ে বদলেছে বৈশি^ক ধারণা। বোঝা নয় বরং সম্পদ হিসেবেই বিবেচনায় করা হচ্ছে। তাই এক্ষেত্রে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। তবে জনসংখ্যাকে কি জনসম্পদে পরিণত করা গেছে? প্রশ্নটি সেখানেই।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মাতৃমৃত্যু, শিশুমৃত্যু আর জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের সাফল্য গর্ব করার মত। গেল আট বছরে প্রজনন হার বা টিএফআর স্থির আছে । বাড়ছে গড় আয়ূ।
নিকট অতীতে আদমশুমারী না হলেও বৈশ্বিক বিবেচনায় দেশের মোট জনসংখ্যা । আশার কথা, বিশাল জনগোষ্ঠীর বড় অংশই তরুণ ও যুবা। উল্টোপিঠে হতাশার জায়গাটা হলো, কর্মক্ষম হলেও কাজে সম্পৃক্ততা কম। শিক্ষিত, উচ্চ শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বাড়ছে। শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর হার দিনে দিনে বাড়ছে ঠিকই। তবে কাজে লাগছে না পুথিগম বিদ্যা। এটি শিক্ষাব্যবস্থারই ত্রুটি বলছেন এই জনসংখ্যা বিশেষজ্ঞ।
ফলে, প্রথম প্রজন্মের জনসংখ্যার লভ্যাংশ বা পপুলেশন ডিভিডেন্ড প্রাপ্তি আশানুরূপ হবে না। দ্রুতই সরকারকে এ বিষয়ে উদ্যোগ নেয়ার পরামর্শ তার।
শিক্ষিত জনবল থাকার পরও, শিল্প কারখানাসহ প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ ও মধ্যম পর্যায়ে অন্যদেশের মানুষ দিয়ে চালিয়ে নিতে হচ্ছে। কারণটা দক্ষতার অভাব।
তবে, সরকারের গেলো মেয়াদে তথ্য প্রযুক্তির প্রসারে আইটি পার্ক স্থাপন, এ খাতে উদ্যেক্তাদের প্রণোদনা এবং বাজেটে স্টার্টআপ ফান্ড হতাশার মাঝেও আশার আলো।