ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

‘যৌন হয়রানি কমাতে হলে বাড়াতে হবে সামাজিক সচেতনতা’

নেত্রকোনা প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৩:৪৮ পিএম, ১০ জুলাই ২০১৯ বুধবার | আপডেট: ০৫:০৩ পিএম, ১৫ জুলাই ২০১৯ সোমবার

দেশের বিভিন্ন এলাকার মতো নেত্রকোনায় প্রতিনিয়তই যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছে শিশুসহ নানা বয়সী নারী। এতে আতংকে রয়েছেন অভিভাবকরা। সচেতন মহল বলছে, এ ধরণের কুরুচিপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গী বদলাতে হলে স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা ও পাড়া মহল্লায় সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

নেত্রকোনার ১০টি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে প্রতিনিয়তই ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছে গার্মেন্টস কর্মী ও শিশুসহ নানা বয়সের নারী।

পুলিশ বলছে, বিগত ৬ মাসে জেলায় ৭৬টি নারী ও শিশু নির্যাতন এবং ধর্ষণ মামলা হয়েছে। ধর্ষণকারীরা আটক হলেও কমছে না এ ধরণের অপরাধ। সাম্প্রতিক বারহাট্টা উপজেলার হাজীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক যৌন হয়রানি করেন নবম ও দশম শ্রেণীর দুই ছাত্রীকে। দফায় দফায় বিক্ষোভ ও মানববন্ধনের ফলে তাকে আটক করে পুলিশ।

এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই কেন্দুয়া উপজেলায় ঘটে ৫টি ধর্ষণের ঘটনা। সম্প্রতি কেন্দুয়ায় কওমী মহিলা মাদ্রাসার ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে মাদ্রাসার শিক্ষক আবুল খায়ের বেলালীকে আটক করে পুলিশ।

এদিকে, আটকের পর ৬ শিশুকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে আরেক কওমী মহিলা মাদরাসার শিক্ষক। সদরের ঠাকুরাকোনা ও আটপাড়ায়ও ঘটেছে শিশু ধর্ষণের ঘটনা।

এসব ঘটনায় আতংকে রয়েছেন এলাকাবাসী আর অভিভাবকরা।

এদিকে অপরাধীদের আটক করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ প্রশাসন। আর সচেতন মহল বলছে এই ধরণের অপরাধ কমাতে বাড়াতে হবে সামাজিক সচেতনতা।

এছাড়া, এমন অপরাধীদের শুধু আটকই নয়, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি সর্বস্তরের মানুষের।