ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

হাঁটুর ব্যাথায় জোড়ায় ইনজেকশান শরীরের জন্য ক্ষতিকর

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:০৩ পিএম, ১০ জুলাই ২০১৯ বুধবার | আপডেট: ০৯:০৪ পিএম, ১০ জুলাই ২০১৯ বুধবার

হাঁটুর ব্যাথায় জোড়ায় ইনজেকশান সাময়িক স্বস্তি দিলেও দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতি ডেকে আনে বলে জানিয়েছেন ল্যাবএইড স্পেশালাইজড হাসপাতালের অর্থোপেডিক সার্জারী বিভাগের চীফ কনসালট্যান্ট অধ্যাপক ডা.আমজাদ হোসেন।

তিনি বলেন, ওজন নিয়ন্ত্রণে রেখে নিয়মিত ব্যায়াম করলেই বেশিরভাগ হাঁটুর ব্যাথা সারানো সম্ভব। সম্প্রতি একুশে টেলিভিশনের সঙ্গে একান্ত আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

ডা. আমজাদ বলেন, অনেকে মনে করে শুধু ক্যালসিয়ামের অভাবেই হাঁটুতে ব্যাথা হয়। কিন্তু হাঁটুতে বিভিন্ন কারণে ব্যাথা দেখা দিতে পারে। সেটি শুধু পরীক্ষা করলেই বুঝা যাবে। এছাড়া ভিটামিনের অভাবে যেসব রোগ হয় সেগুলোর জন্য আলাদা ভিটামিন ওষুধ না খেয়ে শাক-সবজি, ভিটামিন জাতীয় খাবার এবং ভিটামিন ডি এর জন্য রোদের মধ্যে বসলেই ভিটামিনের অভাব পূরণ হয়ে যাবে।

হাঁটু প্রতিস্থাপনের বিষয়ে তিনি বলেন, যখন কেউ হাঁটুর সমস্যা নিয়ে চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে, মানে হাঁটুর কারণে হাঁটতে না পারা, হাঁটু ফুলে যাওয়া, হাটু বেঁকে যাওয়া, শব্দ করা ভেতরে এই সব সমস্যা দেখা দিলে পরীক্ষা করে সার্জারীর দিকে যায় ডাক্তাররা।

হাঁটুর এমআরআই এর ব্যাপারে তিনি বলেন, শুধু শুধু এমআরআই করানোর কোন দরকার নেই। দেখা যাচ্ছে ৭০ ভাগের উপরে এমআরআই এর রিপোর্টে কোন না কোন সমস্যা ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আর এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। বেশি সমস্যা মনে হলে সাধারণ এক্সরে করে কোন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারকে দেখানো যেতে পারে।

আর হাঁটুর প্রতিস্থাপনের বিষয়ে ভয় পাওয়ার কোন কিছু নেই বলে ডা. আমজাদ হোসেন বলেন, অনেকে এটা নিয়ে ভয় পায়। সাধারণ একটা অপারেশন এটি। এতে ভয়ের কিছু নেই। আর অনেকে ব্যাথা কমানোর জন্য যে ইনজেকশান নেয় এটি হাঁটুর জন্য ক্ষতিকর। বিশেষ করে দেখা যায় যে, জয়েন্টের ইনজেকশানের কারণে ইনফেকশানও হয়। অনেকে দেখা যায় যে অপারেশন না করে ইনজেকশান দেয়, আর এর ফলে পায়ে ইনফেকশন হয়ে ফুলে যায়। আর এটি নিয়ে আমাদের কাছে আসে । তখন দেখা যায় যে, হাঁটুর প্রতিস্থাপন বা অপারেশন করা সম্ভব হয়না।

হাঁটুর প্রতিস্থাপনে সাধারণত খারাপ অংশটুকু আমরা ফেলে দেই। আমরা এর জন্য কোন মাংস পেশীও কাটিনা। এটি করতে ২ লাখ থেকে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়। ৩ দিনের ভেতর এই অপারেশন করার পর রোগী হাঁটতে পারবে বলে জানান তিনি।

তিনি আরো বলেন, এই অপারেশনে ১০ বছরের মধ্যে কোন সমস্যা দেখা যায় না। তবে এটি বেশি বয়সে গিয়ে করালে ভালো হয়। এতে সমস্যা কম হয়। অল্প বয়সে করলে পরে গিয়ে সমস্যাটা একটু বেশি হয়।

কোমরের ব্যাথা সম্পর্কে তিনি বলেন, কোমরের বিভিন্ন ধরনের ব্যাথা রয়েছে। আগে আমাদের শনাক্ত করতে হবে কিসের জন্য এইসব ব্যাথা হয়। স্ট্রোয়েট ওষুধ পরিহার করতে হবে । আর এ ক্ষেত্রে ওজন কমানোর পরামর্শ দেন তিনি।

এনএম/এসি