ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

পায়ে ফোস্কা! জেনে নিন প্রতিরোধের উপায়

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:৪১ পিএম, ১১ জুলাই ২০১৯ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৯:৪৩ পিএম, ১১ জুলাই ২০১৯ বৃহস্পতিবার

বর্ষাকালে চলাচলের ক্ষেত্রে যানবাহন খুব সহজে পাওয়া যায় না। এতে পায়ের উপর বাড়তি চাপ পড়ে। এর সঙ্গে রাস্তার কাদা এবং নোংরা পানি পায়ের ত্বকে সংক্রমণও দেখা দেয়। এ ছাড়া পায়ের আরেকটি সমস্যা বেশি করে ভোগায়। সেটি হলো পায়ের ফোস্কা বা কড়া। তাই শরীরের এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের প্রতিদিন যত্ন নেয়া প্রয়োজন।

গবেষণায় উঠে এসেছে পায়ে ফোস্কা (কড়া) পড়ার কারণগুলো। যা হচ্ছে: ১. এক নাগাড়ে পা ঝুলিয়ে বসা। ২. নানা মাপের ও নানা ডিজাইনের জুতো ব্যবহার করা। ৩. হিলের প্রতি অতিরিক্ত আসক্তি। ৪. অসমান পথে হাঁটাহাঁটি ও পায়ে চাপ পড়ে এমন কাজ বেশি বেশি করা। এগুলোই পায়ে কড়া পড়ার উল্লেখযোগ্য কারণ।

উপরোক্ত কারণগুলোর জন্য পায়ের উপর প্রবল চাপ পড়ে। ফলে যে অংশটিতে বেশি চাপ পড়ছে, সেখানে মরা চামড়া জমে জমে কড়া তৈরি হয়। অবহেলা করলে কড়া সারাতে অস্ত্রোপচার পর্যন্ত করতে হয়। তাই প্রথম থেকেই সচেতন থাকা উচিত।

অনেকেই বাড়িতে বসে নানা উপায়ে কড়া কেটে বা চামড়া ছিঁড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এতে পা জখম হবার সম্ভাবনা থাকে। সঙ্গে সঙ্গে জীবাণুও দেখা দিতে পারে। তাই এই বদভ্যাসগুলো ছাড়তে হবে। সঙ্গে সঙ্গে কিছু নিয়ম আছে যা মানলে আপনি উপকার পেতে পারেন।

জেনে নিন সে নিয়মগুলো :

গরম পানিতে পা ভেজান

প্রতিদিন বাড়ি ফিরে ভাল করে পা ধোওয়ার পর অন্তত দশ মিনিট গরম পানিতে পা ভেজান। এতে কড়া পড়া  জায়গাটি নরম হয়ে যাবে। এবার পা শুকনো করে মুছে নিয়ে কড়ার জায়গায় আঙুলের হালকা চাপ দিয়ে ঘষুন। এমন করলে দিন কয়েকের মধ্যেই কড়ার মরা চামড়া উঠে আসবে সহজে। এরপর লাগান ফুট ক্রিম। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই ক্রিম লাগান।

নোংরা পানি থেকে পা দূরে রাখুন

খুব বেশিক্ষণ নোংরা পানিতে ঘোরাফেরা করবেন না। খারাপ পানি লাগলেও তা ভাল পানি দিয়ে ধুয়ে মুছে ফেলুন। পা যত কম আর্দ্র থাকবে ততই কড়ার পক্ষে ভাল। তবে ভিজা জুতা-মোজা পরা যাবে না একেবারেই।

পেডিকিওর

পার্লারে গিয়ে পেডিকিওর করানোর সুঅভ্যাস ও সময় দুই-ই থাকলে তো মিটেই গেল। পেডিকিওরে পায়ের নিয়মিত যত্ন হয় বলে কড়া বাসা বাঁধতে পারে না। পার্লারে যাওয়ার সময় না পেলে অন্তত বাড়িতেই কিছুটা যত্ন নিন পায়ের।

আরামদায়ক জুতা

পায়ের জন্য কোন ধরনের জুতা উপকারী, সে পরামর্শ চিকিৎসকের কাছ থেকে নিন। ডক্টর’স শু পরা ভাল কিন্তু ঠিক কোন ধরনের শু আপনার পায়ের জন্য উপকারী, তা না জেনে জুতো কিনবেন না। হিল পড়ায় কড়ার সমস্যা বাড়ে। তাই কড়া থাকলে হিল পড়া ছেড়ে দিন। এ ছাড়া পায়ের জন্য যে জুতা আরামদায়ক সেই জুতা পড়ার অভ্যাস গড়ুন। এতে আপনার পা ভাল থাকবে।

এএইচ/এসি