ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

ঋণখেলাপিদের সুবিধা কার্যকরের নির্দেশ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৪৪ পিএম, ১১ জুলাই ২০১৯ বৃহস্পতিবার

ঋণখেলাপিদের দুই শতাংশ ডাউন পেমেন্ট দিয়ে ৯ শতাংশ সুদহারে ঋণ পুনঃতফসিলের বিশেষ সুবিধার যে সার্কুলার জারি করেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক, সেটা অবশেষে কার্যকর হচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক ওই সার্কুলার নিয়ে আপিল বিভাগের আদেশ পরিপালন করার জন্য বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এ নির্দেশনার ফলে আগামী দুই মাস ঋণ পুনঃ তফসিলের সুবিধা নিতে পারবেন ঋণখেলাপিরা। তবে এ দুই মাস নতুন করে কোনো ঋণ পাবেন না তারা।

সার্কুলারে বলা হয়, বিআরপিডি সার্কুলার নং-৫, তারিখ ১৬ মে ২০১৯ এর ওপর হাইকোর্ট ডিভিশন কর্তৃক জারিকৃত স্থিতাবস্থার ওপর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ গত ৮ জুলাই ২ মাসের জন্য স্থগিতাদেশ প্রদান করেছেন। ওই আদেশের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আপনাদের পরামর্শ দেওয়া হলো।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আপিল বিভাগের নির্দেশনা পরিপালনের জন্য ব্যাংকগুলোকে বলা হয়েছে। এ দুই মাস খেলাপি ঋণ পুনঃ তফসিল হবে, কিন্তু নতুন কোনো ঋণ পাবে না সুবিধাভোগিরা।

গত ১৬ মে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে মাত্র ২ শতাংশ ডাউনপেমেন্ট ও ৯ শতাংশ সরল সুদে ১০ বছরের জন্য ঋণ পরিশোধের সুযোগ দিয়ে খেলপি ঋণ পুনঃ তফসিলের বিশেষ নীতিমালা জারি করা হয়। এতে পুনঃ তফসিলের সুবিধা নিতে ৯০ দিনের মধ্যে আবেদন করার সময় নির্ধারণ করা আছে। ইতোমধ্যে অনেক সময় চলে গেছে। ফলে এ সময়ের মধ্যে ঋণখেলাপিরা শুধু পুনঃ তফসিলের আবেদনই দাখিল করার সময় পাচ্ছেন।

এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২১ মে হাইকোর্ট ওই নীতিমালা কার্যক্রমের ওপর ২৪ জুন পর্যন্ত স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেয়। গত ২৪ জুন অপর আদেশে হাইকোর্ট স্থিতাবস্থার মেয়াদ আরও দুই মাস বাড়ায়। এই দুটি আদেশ স্থগিত চেয়ে অর্থ বিভাগের পক্ষে গত ১ জুলাই আপিল বিভাগে আবেদন করা হয় (লিভ টু আপিল)। ২ জুলাই এটা নিয়ে চেম্বার আদালতে শুনানি হয় এবং হাইকোর্টের স্থিতাবস্থা ৮ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করে আদালত।

একই সঙ্গে অর্থ বিভাগের করা আবেদনটি ৮ জুলাই আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির দিন ধার্য্য করা হয়। গত ৮ জুলাই আপিল বিভাগ শুনানি শেষে আদেশে জানান, ঋণখেলাপিদের বিশেষ সুবিধা দিতে পারবে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে বিশেষ সুবিধা ভোগকারীদের পুনরায় নতুন ঋণ দেয়া যাবে না।

আরকে/