ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

শেরপুরে পাহাড়ি ঢলে ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দি

শেরপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১০:৫৩ পিএম, ১১ জুলাই ২০১৯ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৯:২৩ এএম, ১২ জুলাই ২০১৯ শুক্রবার

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও গত কয়েক দিনের ভারি বর্ষণে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

মহারশী নদীর দীঘিরপাড় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙ্গে ৫টি ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে পানি প্রবেশ করায় প্রায় ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এছাড়া ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুবেল মাহমুদ জানান, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কৃষকদের বীজ তলা, ভেসে গেছে পুকুরের মাছ।

হাতিবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন দোলা জানান, হাতিবান্ধা, লয়খা, কামার পাড়া, মাগলার মুখসহ কয়েকটি গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। কৃষকদের বীজ তলায় পানি ঢুকে পড়েছে।

সোমেশ্বরী নদীর পানিতে বাগের ভিটা, দাড়িয়ারপাড়, কান্দলী, কোচনীপাড়া, মাঝাপাড়াসহ কয়েকটি গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

ঝিনাইগাতী সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন জানান, সোমেশ্বরী নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে কোচনীপাড়া-বাগের ভিটা রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাহাড়ি ঢলের পানিতে ছুড়িহারা, দিঘিরপাড়, চতল, রামনগর, কালিনগর, দরিকালিনগর, বালুরচর, দারিয়ারপাড়সহ কয়েকটি গ্রামের শত শত মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। রাস্তা ঘাট বিধ্বস্ত হওয়ার পাশাপাশি অর্ধ শতাধিক পুকুরের মাছ ভেসে গেছে।

মালিঝিকান্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম তোঁতা জানান, দেবোত্তরপাড়া, জুলগাঁও, হাসলিগাঁও,বাণিয়াপাড়া, রাঙামাটিসহ কয়েকটি গ্রামের মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। কৃষকদের বীজ তলা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। অনেক পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। ঢলের পানির তোরে বাগের ভিটা কোচনীপাড়া রাস্তা বিধ্বস্ত হয়ে সড়ক যোগাযোগ  বিচ্ছিন্ন হয়ে পরেছে।

গৌরিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান মন্টু জানান, মহারশী নদীর পানির তোরে দিঘিরপাড়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙ্গে ৪টি গ্রামে পানি প্রবেশ করেছে। শতাধিক একর জমির বীজতলা পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

বুধবার বিকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুবেল মাহমুদ সদর ইউনয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন চাঁন জানান, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান মহারশী নদীর দিঘিরপাড় বিধ্বস্ত বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধ এলাকা পরিদর্শন করেন।

উপজেলা কৃষি অফিসার হুমায়ুন কবির জানান, ৬৭০ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। তন্মধ্যে ১৫ হেক্টর জমির বীজতলা পানির নিচে নিমজ্জিত হয়েছে।

উপজেলা মৎস্য অফিসার মো. সিরাজুস সালেহীন জানান, পানিতে তলিয়ে কি পরিমাণ মাছের ক্ষতি সাধিত হয়েছে তা এখনো বলা সম্ভব নয়।

এছাড়া ভোগাই চেল্লাখালিও সোমেশ্বরী নদীর পানিতে নালিতাবাড়ী ও শ্রীবরদীর কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।