ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

বিশ্বকাপের ব্যাটিংয়ে শীর্ষে যারা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৪৫ এএম, ১২ জুলাই ২০১৯ শুক্রবার | আপডেট: ১১:৪৫ এএম, ১২ জুলাই ২০১৯ শুক্রবার

শেষ প্রান্তে এসে পৌঁছেছে বিশ্বকাপের দ্বাদশ আসর। আর মাত্র একটি ম্যাচ পরই পর্দা নামছে এবারের আসরের। লিগপর্ব শেষ হয়েছে অনেক আগেই। গতকাল শেষ হলো সেমিফাইনাল পর্ব। বাকি শুধু ফাইনাল।

তার আগে দেখে নেয়া যাক এবারের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ আসরে রানের দৌঁড়ে কে কোথায় আছেন।

আসরের শুরু থেকে ব্যাটিংয়ে ঝড় তুলেছিলেন ভারতীয় ব্যাটসম্যান রোহিত শর্মা। লিগপর্বের ৮ ম্যাচের ৫টিতেই সেঞ্চুরি করে রেকর্ড গড়েন তিনি। আছে একটি হাফসেঞ্চুরিও। ফলে, রানের দৌঁড়ে সবার শীর্ষে জায়গা করে নেন রোহিত। কিন্তু ফাইনালের যুদ্ধে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে কিছুই করতে পারেননি এ ভারতীয় ওপেনার। ৪ বলে মাত্র ১ রান নিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি।

ফলে, দলও বড় ধাক্কা খেয়ে বিদায় নেয় চলতি আসর থেকে। কিন্তু নিজের কৃতিত্ব এখনো উজ্জল রেখেছেন রোহিত। ৬৪৮ রান নিয়ে এখনো শীর্ষে।

এক ম্যাচ বেশি খেলেও তাকে টপকাতে পারেননি আরেক আসরের অন্যতম বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান ডেভিট ওয়ার্নার। রোহিতের চেয়ে মাত্র ১ রান কমে ৬৪৭ রান নিয়ে আছে দ্বিতীয় অবস্থানে।

রোহিতকে টপকানোর সুযোগ থাকলেও স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বোলিংতোপে ১১ বলে মাত্র ৯ রানে সাজঘরে ফেরার সঙ্গে নিজদল পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নদেরও বাড়ির পথে নিয়ে যান এ ব্যাটসম্যান। ১০ ম্যাচে তিন সেঞ্চুরি ও তিন হাফসেঞ্চুরির সুবাদে ৬৪৭ রান করেন অস্ট্রেলিয়ার এ সাবেক অধিনায়ক।

ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে দুই ফেভারিটের বিদায়ে তাদের আর কোন ম্যাচ না থাকায় তাদের রান পরিবর্তন হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।

তাদের চেয়ে কম ম্যাচ খেলে দুই সেঞ্চুরি আর পাঁচ হাফসেঞ্চুরির সুবাদে ৬০৬ রান নিয়ে তিনে আছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।

প্রোটিয়াদের বিপক্ষে উড়ন্ত সূচনা করে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করলেও মাঝপথে এসে পথহারায় টাইগাররা। এমনকি যাদের কাঁধে ভর করে সেমির স্বপ্ন দেখেছিল মাশরাফিরা, তাদের কাছে হেরে শেষটা রাঙাতে পারেনি তামিমরা।

তবে টাইগারদের এমন করুণ অবস্থায়ও ব্যতিক্রম ছিলেন সাকিব আল হাসান। প্রত্যেকটি ম্যাচে নিজের নামের সুবিচার করেন তিনি।

রানের দিক থেকে তিনে থাকলেও অলরাউন্ডার হিসেবে এখনো শীর্ষে সাকিব। তার আশেপাশে আপাতত কেউ নেই। ব্যাটে ৬০৬ রানের পাশাপাশি ৮ ম্যাচে ১১ উইকেট নেন এ অলরাউন্ডার।

নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের চেয়ে এক ম্যাচ বেশি খেলে ৫৪৯ রান নিয়ে চারে আছেন ইংলিশ টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান জো-রুট। দুই শতক আর তিন অর্ধশতকের সুবাদে এ রান করেন তিনি।

তার চেয়ে এক ম্যাচ কম খেলে ৫৪৮ রান নিয়ে পাঁচে কিউই অধিনায়ক। নিউজিল্যান্ডের ফাইনালে ওঠার একমাত্র সিড়ি হিসেবেই নিজেকে প্রস্তুত করেছেন এ ব্যাটসম্যান।

আসরের ফাইনালে লড়াই যেহতু ইংলিশ-কিউইদের মধ্যে হবে, সেক্ষেত্রে এখনো শীর্ষে ওঠার সুযোগ আছে চারে থাকা রুট আর পাঁচে থাকা উইলিয়ামসনের। শীর্ষে উঠতে হলে উভয়কেই সেঞ্চুরি হাকাতে হবে। কেননা, শীর্ষে থাকা রোহিতের রানের সঙ্গে তাদের ব্যবধান শত রানের।

এরপরই যথাক্রমে ১০ ম্যাচ খেলে ৫০৭ রান নিয়ে ছয়ে অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক অ্যারন ফিন্স, সমানসংখ্যক ম্যাচ খেলে জনি বেয়ারস্টো ৪৯৬ রান নিয়ে সাতে, ৮ ম্যাচ খেলে ৪৭৪ রান নিয়ে আটে পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান বাবর আজম।

এক ম্যাচ বেশি খেলেও সুবিধা করতে পারেননি ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ৯ ম্যাচে তার ব্যাট থেকে থেকে এসেছে মাত্র ৪৪৩ রান। ফলে জায়গা হয়েছে নয়ে। আর সাত ম্যাচে ৪২৬ রান নিয়ে শীর্ষ দশে আছে ইংলিশ ওপেনার জেসন রয়।

আগামী ১৪ জুলাই ক্রিকেটের সর্বোচ্চ আসরের ১২ তম ফাইনাল ম্যাচে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামবে শিরোপার আরেক দাবিদার নিউজিল্যান্ড।

১৯৯৬ আসর অর্থাৎ ২৩ বছর পর নতুন কোন দলের হাতে শিরোপা দেখতে পাবে বিশ্বের ক্রিকেটপ্রেমিরা। সেবার অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল শ্রীলংকা।

তিন তিনবার ফাইনালে উঠেও শিরোপা জিততে পারেনি এবারের আসরে স্বাগতিকরা। ফলে ট্রফি খরা মেটাতে মুখিয়ে আছে দলটি। সবশেষ ১৯৯২ সালের আসরে পাকিস্তানের বিপক্ষে হেরে রানার্স আপ হয়েছিল ইংলিশরা।

অন্যদিকে একবারের জন্য ফাইনাল খেলার সুযোগ হয়েছে নিউজিল্যান্ডের। ২০১৫ সালের একাদশ আসরে ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে প্রথমবার রানার্সাপ হয় কিউইরা। তাই তাদের জন্য শিরোপা জেতার আরেকটা হাতছানি দিচ্ছে।

দলকে জেতার পাশাপাশি সর্বোচ্চ রানের দ্বারে ইংলিশ টপঅর্ডার জো-রুট ও কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। তাই দলের পারফর্মেন্সের পাশাপাশি তাদের দিকে তাকিয়ে থাকবে বিশ্বের ক্রিকেটপ্রেমিরা।