ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

কংগ্রেসের কি দায়িত্ব নেবেন সোনিয়া?

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৩:০৪ পিএম, ১৩ জুলাই ২০১৯ শনিবার

ভারতের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের ভরাডুবির পর একের পর এক নাটকের জন্ম দিয়ে সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়ান রাহুল গান্ধী।

ফলে নতুন নেতা নির্বাচন নিয়ে বেশ বিপাকে পড়ে দলটি। রাহুলের যোগ্য উত্তরসূরি না পাওয়ায় আলোচনায় আসেন সাবেক সভাপতি সোনিয়া গান্ধী।

রাহুল সরে যাওয়ার সময় কংগ্রেসের জেষ্ঠ্য নেতাদের যে সকল পরামর্শ ও উপদেশ দিয়ে যান তার মধ্যে ছিল, নতুন নেতা গান্ধী পরিবারের বাইরে কাউকে করার।

কিন্তু সে রকম উত্তরসূরি খুঁজতে গিয়ে নাজেহাল কংগ্রেস। এ কারণে কংগ্রেস নেতারা ফের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সাবেক সভাপতি সোনিয়া গান্ধীর। কিন্তু অন্তর্বর্তী সভাপতি হওয়ার প্রস্তাব সরাসরি নাকচ করে দেন তিনি।  

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, অন্তর্বর্তী সভাপতি হতে কংগ্রেসের প্রবীণ নেতাদের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন সোনিয়া গান্ধী। কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি হতে তিনি আগ্রহী কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।

তবে আপাতত তার উপরই ভরসা করতে চাচ্ছেন ভারতের সবচেয়ে পুরনো এ দলটির নেতারা।

খবরে বলা হয়, স্বাস্থ্যজনিত কারণে সক্রিয় রাজনীতি থেকে অনেকটাই নিজেকে সরিয়ে নেওয়া ৭২ বছরের সোনিয়া তার ঘনিষ্ঠ মহলকে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব সামলানো তার পক্ষে সম্ভব নয়, যদিও সেটা পারলে তিনি এটাকে চ্যালেঞ্জ আকারে দেখতেন।

গত ২৩ মে ভারতের লোকসভা নির্বাচনে অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙ্গে লজ্জাজনকভাবে হেরে যায় রাহুলের নেতৃত্বে থাকা কংগ্রেস।

৫০২ আসনের মধ্যে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)’র ৩০৩ আসনের বিপরীতে কংগ্রেস পায় মাত্র ৫২টি।

দলের এমন নাজুক অবস্থার জন্য নিজেকে দায়ী করে দলের শীর্ষ পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন রাহুল। কিন্তু বাধ সাধেন দলের জেষ্ঠ্য নেতারা।

কিন্তু নিজের সিদ্ধান্তে অনড় রাহুল সকল নাটকের অবসান ঘটিয়ে চলতি মাসের ৩ জুলাই চূড়ান্তভাবে কংগ্রেসের সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়ান।

আই/