ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৭ ১৪৩১

চিরতরুণ থাকতে চান? তবে ১৪টি অভ্যাস গড়ুন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৩:৩৯ পিএম, ১৩ জুলাই ২০১৯ শনিবার

বয়স ষাটোর্ধ্ব কিন্তু দেখতে তরুণ।  চলাফেরায় বিভিন্ন জায়গায় এ রকম কিছু লোক দেখতে পাবেন। ভাবছেন, এরকম আপনিও যদি হতে পারতেন! চিরতরুণ হতে কে না চায়? আপনিও হতে পারেন। তবে অভ্যাসগত কিছু পরিবর্তন আনতে হবে আপনাকে। সঠিকভাবে ১৪টি অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলেই আপনি চিরতরুণ।

এবার জেনে নিন সেই ১৪টি অভ্যাস :

১. খুব ধীরে ধীরে সকালে ঘুম থেকে উঠে চার গ্লাস পানি খাওয়ার অভ্যাস করুন। এরপর বাথরুমে যান। পানি খাওয়ার নাম হচ্ছে হাইড্রোথেরাপির জলচিকিৎসা। মূলত এটি হচ্ছে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার বছরের প্রাচীন ভারতীয় চিকিৎসা। আধুনিক বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে- ঘুম থেকে উঠে ধীরে ধীরে চার গ্লাস পানি খাওয়ার অভ্যাস করলে প্রায় ৩৬ ধরনের রোগ হয় না এবং হলেও সেরে যায়।

২. বাথরুম থেকে ফিরে এসে আরও এক গ্লাস পানি খান এবং তারপর খান দুধ ছাড়া খুব হালকা এককাপ চা। আপনার ওজন বেশি হলে চিনি খাওয়া ছেড়ে দিন। চা কখনোই অতিরিক্ত গরম খাবেন না।

৩. এ ছাড়া সারাদিনে ৮ থেকে ১২ গ্লাস বাড়তি বিশুদ্ধ পানি খাবেন।

৪. দুধহীন এবং দুধ-চিনিহীন হালকা গরম চা হচ্ছে আড়াই হাজার বছর আগের একটি চায়নিজ হারবাল মেডিসিন। সেকালে এই চা দিয়ে হার্ট, ব্লাড প্রেসার (উচ্চ রক্তচাপ) ও পেটের নানা রকম রোগের চিকিৎসা করা হতো। আবার আধুনিক বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে- চায়ে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা ক্যান্সার প্রতিরোধে নিশ্চিত অবদান রাখে। তবে যে চা প্রক্রিয়াজাত হয়নি, সে চায়ের গুণাগুণই অপেক্ষাকৃত ভালো।

৫. ভিটামিন-সি একটি বৈপ্লবিক খাদ্যপ্রাণ। এর গুণাগুণ অসংখ্য। জানা গেছে দিনে ১ হাজার মিলিগ্রাম ভিটামিন-সি খেলে মানুষ চির তরুণ থাকে। তবে ট্যাবলেট খেলে কিছুই উপকার পাওয়া যায় না। প্রতিদিনই কমবেশি খেতে হবে ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ তাজা ফলমূল। ভিটামিন-সিও ক্যান্সার ঠেকাতে সাহায্য করে। আমলকী, সব ধরনের লেবু, টমেটো, কমলা, পেয়ারা, নানারকর টক স্বাদের ফলে বিভিন্ন মাত্রায় ভিটামিন-সি রয়েছে।

৬. ধূমপানসহ সকল ধরনের নেশা জাতীয় অভ্যাস ত্যাগ করুন। কারণ নেশা মানুষকে সকল দিক দিয়ে ধ্বংস করে দেয়।

৭. রেডমিট অর্থাৎ গরু, মহিষ, খাসি, ভেড়া ইত্যাদির মাংস খাওয়া ছেড়ে দিতে হবে। ফার্মের মুরগিও চলবে না। শুধু চর্বিহীন বাচ্চা মুরগির মাংস খাওয়া চলতে পারে।

৮. প্রচুর পরিমাণে আধা-সেদ্ধ শাক-সবজি, তরি-তরকারি এবং খুব অল্প পরিমাণে ভাত-রুটি খাওয়া উচিত। ভাজাভুজি খাবেন না। অতিরিক্ত তেল, চর্বি, ঘি, মাখন খাবেন না। মসলার বিভিন্ন ভেষজ গুণ আছে, তবুও রান্নায় খুব বেশি মসলা ব্যবহার করবেন না।

৯. সালাদ হিসাবে প্রতিদিন বেশি করে খাবেন কাঁচা লেটুস পাতা, পুদিনা পাতা, টমেটো ইত্যাদি।

১০. বিধি-নিষেধ না থাকলে সকালে খালি পেটে এক চামচ মধু খাবেন।

১১. পূর্ণবয়স্কদের জন্য গরু, ছাগল, মহিষের দুধ অপ্রয়োজনীয় তো বটেই, রীতিমতো ক্ষতিকর। তাই এগুলো পরিহার করুন।

১২. ছোট-বড় সব ধরনের মাছ খাবেন। সমুদ্রের মাছ খাওয়া অভ্যাস করতে পারলে তো খুবই ভালো। কেননা, এটা মহৌষধ। গাদা-গাদা মাছের কাটা খাওয়া ঠিক নয়। এতে পাকস্থলিতে পাথর হতে পারে।

১৩. সূর্যমূখী ফুলের বীজ হচ্ছে হার্টের ভেষজ ওষুধ। রান্নায় সূর্যমূখী তেল ব্যবহার করলে হার্টের সুরক্ষা যেমন হয়, তেমনি হার্টের অসুখ থাকলে তা সারাতে সাহায্য করে।

১৪. প্রতিদিন অল্প একটু টক দই খাওয়ার অভ্যাস করুন। টক দই উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে আনতে সাহায্য করে।

উপরোক্ত অভ্যাসগুলো নিজে গড়ে তুলুন। বিভিন্ন রোগ থেকে যেমন মুক্তি পাবেন এবং তেমনি আপনি চিরতরুণও থাকতে পারবেন।

এএইচ/