ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

এরশাদের জন্যই আজকে আমার এ অবস্থান: বিদিশা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৪৬ পিএম, ১৪ জুলাই ২০১৯ রবিবার | আপডেট: ১২:১৭ এএম, ১৫ জুলাই ২০১৯ সোমবার

সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ পাড়ি জমিয়েছেন না ফেরার দেশে। এরশাদ, জাতীয় পার্টি ও সমসাময়িক বিষয় নিয়ে কিছুদিন আগে একুশে টেলিভিশনের সঙ্গে খোলামেলা কথা বলেছিলেন তার সাবেক স্ত্রী বিদিশা এরশাদ। নিম্নে আলাপচারিতার চুম্বক অংশ তুলে ধরা হলো-

বিদিশা স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, ওনার (এরশাদ) জন্যই আজকে আমি। ওনার জন্যই আমি এরিকের মা। রাজনীতি অনেক বড় একটি জায়গা। আমি আমার স্বামীর হাত ধরে রাজনীতিতে এসেছিলাম। আমার তো এখনও প্রয়োজন ফুরিয়ে যায়নি। আবার হয়তো রাজনীতিতে ফিরবো।

বিদিশা এরশাদ বলেন, জাতীয় পার্টিতে এরশাদের বিকল্প কেউ নেই এবং তার অনুপস্থিতি কোন ভাবেই পূরণ করা সম্ভব নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বিদিশা এরশাদ ইটিভিকে বলেন, জাতীয় পার্টি এখন ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। তবে তার ভাই জিএম কাদের কতটুকু তার ঘাটতি পূরণ করতে পারবেন তা সময়ই বলে দেবে।

বিদিশা বলেন, ‘জাতীয় পার্টিতে এখন অনেকেই আসতে চায়। আমার সঙ্গে অনেকে যোগাযোগ করছেন। অনেকে আমাকে বলেন, আপা আপনি রাজনীতিতে আসেন। আপনি সক্রিয় হোন, আমরা আপনার সঙ্গে রাজনীতি করতে চাই। আগে যখন রাজনীতিতে ছিলাম, তখন অনেক কিছু বুঝতাম না। এখন অনেক কিছুই শিখেছি।’

বিএনপি শেষ উল্লেখ করে বিদিশা এরশাদ বলেন, ‘আমি যদি এখন জাতীয় পার্টিতে ফেরত যাই। আমি চেষ্টা করবো বিএনপিকে ভেঙ্গে তাদের নেতাদের দলে নিয়ে আসার। বিএনপি তো শেষ। তাই বিএনপির নেতারা এখন দল হারা। তাদের ভালো ভালো নেতাদের এনে সব নেতা কর্মীদের সক্রিয় করতাম। জাতীয় পার্টি তখন বিরোধী দল হিসেবে আরো ভালো ভূমিকা পালন করতে পারতো।’

তিনি আরো বলেন, ‘এরশাদ সাহেব ওনার ভাইকে তার জায়গায় বসিয়েছেন আমি এটিকে স্বাগত জানাই। এটি একটি ভালো সিদ্ধান্ত। আমি আশা করবো ওনিও এরশাদ সাহেবের মত সারাদেশ ঘুরবেন, সব নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করবেন। এছাড়া যাদের জাতীয় পার্টি থেকে বহিস্কার করা হয়েছে তাদেরও ফিরিয়ে আনবেন। এখন যিনি মহাসচিব আছেন তিনি অবশ্যই একজন ডায়নামিক মানুষ বলে মনে করছি।’

হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের সাবেক এই স্ত্রী বলেন,‘জাতীয় পার্টিতে তো এখন আমি সেভাবে নেই। যখন আমি ছিলাম তখন সক্রিয়ভাবে রাজনীতি করেছি। আমি সবাইকে একসাথে সমন্বয় করেছি। বিএনপির রোষানলে পড়ে রাজনীতি থেকে বিদায় নিতে হয়েছে আমাকে। আমার সঙ্গে জেল জুলুম অত্যাচার সবই হয়েছে। প্রায় ১০ বছর সক্রিয় না থাকলেও আামি সামাজিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত রয়েছি।’

মহাজোট করতে চেয়েছি বলে, আমাকে বিএনপির তারেক ও বাবরের কারণে রাজনীতি থেকে নিষ্ক্রীয় করা হয়েছে। এছাড়া জাতীয় পার্টির একটি গ্রুপ ছিলো যারা তখন বিএনপির পক্ষে কাজ করতো। তারা এখনও এই সরকারের সঙ্গেও সক্রিয় রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

তার সন্তানের খোঁজখবর আগের মত কেউ নেয় কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এরিকের জন্য আগে অনেকে অনেক কিছু নিয়ে আসত কিন্তু এখন অনেকেই আসেনা। আর তখন তো অনেকে আসতো এরশাদ সাহেবকে খুশি করার জন্য। এখন তিনি নেই তাই আসছেনও না। তবে অনেকে হতাশও হয়েছে বিভিন্ন সময়ে। কেউ বড় পদ চেয়েছে, পায়নি,অথবা কেউ মহাসচিব হতে চেয়েছে পারেনি। এসব কারণেও অনেকে মনক্ষুণ্ণ হতে পারে। ’

এনএম/এসি