ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

এরশাদের পাশে শায়িত হতে চান রওশন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৪:২২ পিএম, ১৬ জুলাই ২০১৯ মঙ্গলবার

জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা ও জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান রওশদ এরশাদ স্বামী সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মাদ এরশাদের পাশে চিরশায়িত হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। মঙ্গলবার এরশাদের মরদেহ জানাজার জন্য জন্মস্থান রংপুরে নিয়ে গেলে লাখো নেতাকর্মীর দাবিরমুখে সেখানেই এরশাদকে সমাহিত করার অনুমতি প্রদানকালে তিনি এ ইচ্ছার কথা জানান।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি খন্দকার দেলোয়ার জালালী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।গত রোববার (১৪ জুলাই) রাজধানীর সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদ।সেসময় এরশাদ পত্নী বলেছিলেন, এরশাদ শুধু একজন রাজনীতিক ছিলেন না, তিনি সামরিক বাহিনীর দায়িত্ব পালন করেছেন। তাই তাকে বনানীর সামরিক কবরস্থানে  দাফন করা হবে।

এরশাদের ছোটভাই ও জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জি এম কাদেরও রওশনের সঙ্গে একমত পোষণ করে সেখানে দাফনের পক্ষে মত দেন। সে অনুযায়ী বনানীতে আজ দাফনের সব প্রস্ততি সম্পন্ন করা হয়। মঙ্গলবার শেষবারের মত এরশাদকে তার জন্মস্থান রংপুরে নেওয়া হয়। সেখানে জানাজা শেষে পুনরায় তাকে ঢাকায় আনার কথা ছিল।

কিন্তু নিহত হওয়ার আগেই থেকে রংপুরবাসীর দাবি, এরশাদকে যেন তার জন্মস্থানেই শায়িত করা হয়। সে অনুযায়ী স্থানীয় নেতাকর্মীরা এরশাদ নিহত হলে কবর প্রস্তুত করে। ঘোষণা দেয়, যেকোন মুল্যে এরশাদকে রংপুরেই দাফন করতে হবে।মঙ্গলবার জেলা কালেক্টরেট মাঠে জানাজা শেষে এরশাদকে ঢাকায় আনার চেষ্টা করা হলে অবস্থান নেন নেতাকর্মীরা। রংপুরে দাফনের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন তারা।

আন্দোলনেরমুখে রওশন এরশাদ সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে এরশাদকে তার পল্লীনিবাসে দাফন করার অনুমতি প্রদান করেন।এরশাদের ছোটভাই জি এম কাদের বলেন, ভাইয়ের প্রতি রংপুরের মানুষের ভালবাসা ও শ্রদ্ধা দেখে ভাবি (রওশন এরশাদের) এখানেই দাফনের অনুমতিতে দেন।পরে রংপুরের দর্শনা মোড়ে পল্লীনিবাসের পাশে তার বাবা মরহুম মকবুল হোসেন মেমোরিয়াল হাসপাতাল এলাকায় লিচু বাগান চত্বরে সাবেক এ রাষ্ট্রপতিকে দাফন করা হয়।

আই/